সন্দেহ নেই বোলাররা সামর্থ্যের সেরাটা উপহার দিয়েছেন। কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান, তরুণ ফাস্ট বোলার শরিফুল, ‘চ্যাম্পিয়ন’ সাকিব আর দুই তরুণ স্পিনার নাসুম এবং শেখ মাহদির সাঁড়াসি বোলিং আক্রমণ তোড় সামলাতে পারেনি অসিরা। এর সাথে শেরে বাংলার স্লো-লো আর খানিক টার্নিং উইকেটও অসি বধে রেখেছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। স্লো ও লো ট্র্যাকে মোস্তাফিজের স্লোয়ার, কাটার, শরিফুলের স্লোয়ার এবং তিন স্পিনার সাকিব, নাসুম আর মাহদির ঘূর্ণি বলে ‘চোখে শর্ষে ফুল’ দেখেছেন অসি ব্যাটসম্যানরা। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গেও কী ওই স্লো ও লো পিচেই খেলা হবে। কিউই বধে কী হোম অফ ক্রিকেটে আবারো সেই মন্থর গতির নিচু বাউন্স এবং খানিক টার্নিং উইকেটে খেলা হবে? ব্ল্যাক ক্যাপ্সদের ঘায়েল করতে ঘরের মাঠে নিজেদের সামর্থ্যের সর্বোচ্চ কৌশলটাই কী বেছে নেবে স্বাগতিকরা?
গত কয়েকদিন ধরে এ প্রশ্নই উঁকি-ঝুকি দিচ্ছিল এর-ওর মনে। অবশেষে আজ মিললো তার উত্তর। দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স জানিয়ে দিলেন, তিনি চান অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যে কন্ডিশনে খেলা হয়েছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও যেন সেই উইকেটেই খেলা হয়। বাংলাদেশ ব্যাটিং কোচ বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার সাথে সিরিজে কন্ডিশন যেমন ছিল, আমি নিউজিল্যান্ডের সাথে সিরিজেও তেমন কন্ডিশনই আশা করছি। অস্ট্রেলিয়ার সাথে সিরিজে অংশ নেয়া ব্যাটসম্যানদের সাথে আমাদের গতকাল খুব ভাল আলোচনা হয়েছে। এছাড়া মুশফিকুর রহীম আর লিটন দাসের সাথেও কথা হয়েছে। যারা সর্বশেষ সিরিজে অংশ নেয়নি। এরা অভিজ্ঞ এবং তারাও শেয়ার করেছে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পর নিউজিল্যান্ডের সাথে সিরিজে করনীয় কী?’ টাইগার ব্যাটিং কোচের মূল্যায়ন, জিম্বাবুয়ের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের বড় পার্থক্য হলো উইকেট। দুটি ভিন্ন ব্যাটিং কন্ডিশনে খেলা হয়েছে। যার সাথে মানিয়ে নেয়া ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে হয়, আমাদের দল জিম্বাবুয়ের বাউন্সি কন্ডিশনের সাথে বেশ ভালই মানিয়ে নিয়েছিল এবং আমরা সে সিরিজ জিতেওছিলাম। এরপর বাংলাদেশে হোম কন্ডিশন। সেখানে নিচু বাউন্সি পিচে লো স্কোরিং গেম হয়েছে।’