সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৯ অপরাহ্ন

মহেশখালীর সম্ভাবনাময় দৃষ্টিনন্দন পর্যটন স্পট শাপলাপুরের পাদদেশে

কাইছার হামিদ মহেশখালী :
  • আপডেট সময় সোমবার, ৩০ আগস্ট, ২০২১

দেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপের সর্বো”চ্চ পাহাড় আর সবুজায়নে ভরপুর প্রকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি নজরকাড়া মনোমুগ্ধকর পর্যটন স্পট হবার সম্ভাবনাময় স্থান। আল্লাহর সৃষ্টি পাহাড়ের চুড়া থেকে দেখা যায়, দ্বীপের চতুর্থদিকে বয়ে যাওয়া নদী ও বঙ্গোপসাগর। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের মিঠাছড়ির “ধুইল্যাঝিরি পাহাড়ি এলাকা। পাহাড়ের উঁচুনিচু টিলাগুলাে যেন সবুজ শ্যামলী গালিচায় ঢাকা। এলাকাটি দূর্গম হওয়ায় দূর্দুরান্ত থেকে আগত পর্যটকদের কাছে এখন পরিচিতি লাভ করতে পারেনি। তবে দিন দিন স্থানীয়দের আগমন বাড়ছে ধুইল্যাঝিরি পাহাড়ি ঢালু এলকায়। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এই নৈসর্গিক পাদদেশ¯’ ধুইল্যাঝিরি পাহাড়ি ঢালু এলাকা হয়ে উঠতে পারে দৃষ্টিনন্দন পর্যটন স্পট। মহেশখালী সদর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার উত্তরে শাপলাপুর ধূইল্যাঝিরি পাহাড়ি ঢালু। অপরদিকে চকরিয়া উপজেলার পশ্চিমে বদরখালী-মহেশখালীর সংযোগ মহেশখালী সেতু থেকে সড়কপথে গাড়িযােগে ৬ কিলােমিটার দক্ষিণে মাত্র ১০/১২ মিনিটের পথ পেরােলেই চোখে পড়বে শাপলাপুরের মিঠাছড়ি বাজারের উত্তর পার্শ্বে “মিঠাকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন পশ্চিমে সড়ক দিয়ে আঁধা কিলােমিটার পায়ে হেঁটে যাওয়া যায় এই সম্ভবনাময় নজরকাড়া পর্যটন স্পট। যা স্বচক্ষে না দেখলে বিশ্বাসযোগ্য নয়। ইতিমধ্যে অনেকের কাছে শাপলাপুরের “ধুইল্যাঝিরি” নামে পরিচিতি পেলেও সম্প্রতি মহেশখালী উঁচু পাহাড়ি এলাকা নামেও বেশ পরিচিতি পেয়েছে। প্রায়সময় এখানে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে লােকজন ভীড় জমা”েছন। ঘুরতে আসা কয়েকজন ¯’ানীয়ের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তারা জানান, নির্ভেজাল সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশে স্বস্তি পাওয়াটা আলাদা। সিএনজিচালিত ট্যাক্সি নিয়ে স্বপরিবারে ভ্রমণে এসেছিলেন পার্শ্ববর্তী মাতারবাড়ি ইউনিয়নের মােহাম্মদ সােহেল। তিনি বলেন, রাঙামাটি ও বান্দরবান পাহাড়ি এলাকা ঘুরে ঝুলন্ত ব্রিজ দেখার আগ্রহ অনেকদিনের। কিন্তু এখানে এসে নৈসর্গিক লীলাভূমির (ধুইল্যাঝিরি) সন্ধান পেয়েছি যা অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। এখানে না আসলে ভ্রমণের তৃপ্তিটা অপূর্ণ থেকে যেত। অতিশীঘ্রই সর্বো”চ পাহাড় আর সবুজের সমারােহ সত্যিই সবাইকে কাছে টানে নজর কাড়বে। বিশেষ করে বড় বড় পাহাড় ভেদ করে আঁকাবাঁকা পাদদেশের মাঝখানে সরু স্বরূপ সড়কটি আমাকে মুগ্ধ করেছে। স্থানীয় শিক্ষিত ও সচেতন মহলের ভাষ্য অন্যান্য উপজেলা-জেলার পর্যটক স্পট ও ল্যাক’এ চেয়ে আমাদের জন্মভূমি প্রকৃতি রূপধারী ধুইল্যাঝিরি স্থানটি অন্যতম। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন সদস্য প্রবীন সাংবাদিক আব্দু সালাম কাকলী বলেন, মহেশখালীতে ভ্রমণে আসা পর্যটকরা শুধু আদিনাথ দেখে চলে যায়।
কিন্তু মনোমুগ্ধকর ধুইল্যাঝিরিতে এমন একটি পর্যটন স্পট, যা দেখে যেকোন মানুষের মধ্যে পাহাড়, বন ও পরিবেশের প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টি করবে । বিশেষ করে বনবিভাগের যে ছােট পরিসরে ‘ গােলঘর রয়েছে ঠিক এর পাশে একটি বাঁধ দিয়ে ল্যাক তৈরি করে ঝুলন্ত ব্রিজ করলে পর্যটনে নতুন মাত্রা যােগ হবে। জানতে চাইলে শাপলাপুর বনবিট কর্মকর্তা রাজীব ইব্রাহিম বলেন পর্যটনের বিষয়ে কোনও ধরনের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়নি। বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুবিধার্থে ধুইল্যাঝিরি পাহাড়ের ঢালুতে একটি গােলঘর ¯’াপন করা হয়েছে। মূলত কর্মের ফাঁকে বিশ্রামের জন্য এটি তৈরি করা হলেও এখন দেখছি ¯’ানীয়দের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। সরকারের নজর পড়লে সেখানে পর্যটন স্পট গড়ে উঠতে পারে। মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মােহাম্মদ মাহফুজুর রহমান দৈনিক খবরপত্র’কে বলেন, যদি মহেশখালীর কোন পাহাড়ি জনপদে পর্যটন স্পট করার মতাে দর্শনীয় ¯’ানের সন্ধান পাওয়া যায়, সরেজমিনে পরিদর্শন করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পর্যটন স্পট সম্পর্কে অবহিত করা হবে। এমনকি দ্বীপ মহেশখালীতে সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সরকারী জমি উদ্ধার করে মহেশখালীবাসী স্বপ্নপূরণের ফলস্বরূপ সর্বপ্রথম নির্মাণ করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন শিশুপার্ক।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com