সেই কিশোর এখন সাভার গণবিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগের প্রভাষক
মাত্র ১৬ বছর বয়সে এখন থেকে ঠিক দশ বছর আগে র্যাবের গুলিতে পা হারিয়েছিলেন ঝালকাঠির সাতুরিয়া গ্রামের লিমন হোসেন। এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়ার সময় র্যাবের গুলিতে লিমনের পা হারানোর ঘটনা দেশজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়। গতকাল শুক্রবার সেই লিমন হোসেনের বিয়ে। কনে যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওপাড়া এলাকার রাবেয়া বসরি। কনের বাড়িতেই হবে বিয়ের অনুষ্ঠান। ঝালকাঠির সাতুরিয়া গ্রামের সেই কিশোর এখন সাভার গণবিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগের প্রভাষক ও শিক্ষানবিশ আইনজীবী। বিয়ে করে সংসারজীবন শুরু করতে যাচ্ছেন। বিয়ের বিষয়ে লিমন জানান, বাবা-মায়ের পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করে জীবনে আরেক অধ্যায় শুরু করছি। গত বৃহস্পতিবার নিজ বাড়িতে গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান হয়েছে।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে লিমন বলেন, আমার এ পর্যন্ত আসার পেছনে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও প্রথম আলোর অবদান কখনো ভুলতে পারব না। সাংবাদিক আককাস সিকদারের কথাও ভোলা যাবে না।
হবু স্ত্রী রাবেয়া বসরি বলেন, সে (লিমন) নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করে ক্যারিয়ার গড়েছে, দাম্পত্য জীবনেও দায়িত্বশীল হবেন বুঝেই বিয়েতে রাজি হয়েছি। গণবিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৮ সালে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন লিমন। এরপর কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করে ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি গণবিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে শিক্ষা সহকারী পদে যোগ দেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সহকারী প্রভাষক হিসেবে পদোন্নতি পান লিমন। এই বিষয়ে লিমন বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়বেন বলেই আইন বিষয়ে পড়েছেন। লিমনের বিয়ে নিয়ে তার মা হেনোয়ারা বেগম বলেন, গত ১০ বছরে যত কষ্ট করেছি পোলার বিয়ে দিতে পেরে সব কষ্ট শেষ হয়েছে।