এ সময় ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। একইসঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। বর্ষাকাল আসতেই বেড়ে যায় ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়াসহ মশাবাহিত রোগের প্রকোপ। এদিকে এসব রোগের উপসর্গ প্রায়ই একই। তাই অনেকেই বুঝতে পারেন না, মৌসুমী সর্দি-জ্বর না কি ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া বা করোনার উপসর্গ। কীভাবে বুঝবেন ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া না কি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন?
ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া করোনার সাধারণ উপসর্গসমূহ- এই ৩টি রোগই শ্বাসযন্ত্রকে আক্রমণ করে। এর ফলে প্রদাহ শুরু হয়। যদিও করোনা, ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গুর কারণে জ্বর, ঠান্ডা, কাশি, গলা ব্যথা, মাথা ব্যথা, ক্লান্তি, দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট, মাইলেজিয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে। ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তির প্রচ- জ্বর, মাথাব্যথা, জয়েন্ট এবং পেশীতে ব্যথা, বমি ভাব, পেটে ব্যথা এবং ডায়রিয়া হয়ে থাকে। আবার অনেক ডেঙ্গু রোগীর শ্বাসযন্ত্রেও সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি নাক ও মাড়ি থেকে রক্ত পড়াসহ রক্তচাপ কমে যেতে পারে। অন্যদিকে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিরও জ্বর, মাথাব্যথা ও কাঁপুনি দিয়ে ঠান্ডা লাগতে পারে। এমন লক্ষণ দেখা দিলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসা করা না হলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে ম্যালেরিয়া হলে গুরুতর অ্যানিমিয়া, মেটাবলিক অ্যাসিডোসিসসহ শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা ও সেরিব্রাল ম্যালেরিয়া পর্যন্ত হতে পারে।
ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ও করোনা উপসর্গের মধ্যকার পার্থক্য: করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি স্বাদ ও গন্ধ হারিয়ে ফেলে। এমনকি শ্বাসনালীর উপরে প্রদাহের লক্ষণ দেখা দেয়। এ সময় কাশি, স্বর পরিবর্তন ও গলা ব্যথা হয়ে থাকে। ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের মধ্যে আবার এসব উপসর্গ দেখা দেয় না।
করোনা সংক্রমণে সাধারণত গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল লক্ষণ দেখা যায় না। আবার শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা করোনায় আক্রান্তের মধ্যে দেখা দিলেও ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ায় দেখা যায় না।
মাথা ব্যথা বা দুর্বলতার মতো লক্ষণ দিয়ে ডেঙ্গুর প্রাথমিক উপসর্গ প্রকাশ পায়। যা করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে সাধারণত দেখা যায় না। সংক্রমিত হওয়ার ২-৩ দিন পর থেকেই করোনার লক্ষণ প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। তবে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার লক্ষ আক্রান্ত হওয়ার প্রায় ২২-২৫ দিন পর শরীরে প্রকাশ পায়। সূত্র: ডিএনএ ইন্ডিয়া