পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, দেশের মানুষের কঠোর পরিশ্রমের কল্যাণে দেশের নিজস্ব সম্পদ অতীতের তুলনায় অনেক বেড়েছে। দু’টি ক্ষেত্রে আরও ভালো নীতিগত দিকনির্দেশনার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, কৃষির যান্ত্রিকীকরণ বাংলাদেশকে কৃষিপণ্য আমদানির লক্ষ্যস্থল হতে সাহায্য করবে, একই সঙ্গে কারিগরি শিক্ষাকে বৈশ্বিক পর্যায়ে উজ্জ্বল করতে একে জোরদার করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘মানুষ কঠোর পরিশ্রম করছে বিধায় দেশের সম্পদ অনেক বেড়েছে। আমাদের এই সম্পদ কাজে লাগাতে হবে।’ গত রোববার রাজধানীর মিরপুরে ‘মুজিব শতবর্ষ ও বাংলাদেশের ৫০ বছর: ইউসিইপি লিগ্যাসি উদযাপন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পরিকল্পনামন্ত্রী এ কথা বলেন।
দেশের সুবিধাবঞ্চিত ও অসহায় মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে মান্নান বলেন, কারিগরি শিক্ষাকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো দরকার। এজন্য, সময়ের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কারিগরি শিক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। ইতোমধ্যে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের যুগ শুরু হয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে দক্ষ জনশক্তি থাকায় বিদেশে মাছ, দুধ, মাংসের মতো কৃষিপণ্য রপ্তানি বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। মান্নান বলেন, উন্নয়ন অংশীদাররা সময়ে সময়ে তাদের নীতি পরিবর্তন করতে পারে, ‘কিন্তু, আমাদের প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত মানবিক এবং আমাদের নিজেদের দায়িত্ব আমাদেরই পালন করতে হবে। এটাই আমাদের মূলমন্ত্র।’
তিনি বলেন, উন্নয়ন অংশীদাররা যদি যাত্রার মাঝপথে চলেও যায় তবুও দেশ তার নিজস্ব সম্পদ দিয়ে এগিয়ে যেতে পারবে। তিনি যোগ করেন, ‘আমাদের অবস্থা অতীতের তুলনায় অনেক ভালো। আমরা আমাদের নিজস্ব সম্পদ দিয়ে এগিয়ে যেতে পারবো।’ দেশের এখন বড় আকারের প্রকল্প বাস্তবায়নের যথেষ্ট সক্ষমতা রয়েছে উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘উন্নয়ন অংশীদারদের কোনও উন্নয়ন যাত্রার মাঝখানে তাদের নীতি পরিবর্তন করা উচিত নয়।’ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সুবিধাবঞ্চিত শিশু শিক্ষা কার্যক্রম (ইউসিইপি) বাংলাদেশের চেয়ারপারসন পারভীন মাহমুদ বলেন, সংগঠনটি সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও যুবকদের জন্য দীর্ঘ ৪৯ বছর ধরে কাজ করে আসছে। তিনি বলেন, ইউসিইপি, বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়তে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।