জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরধরে সৎ চাচা ও চাচাতো ভাইদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে সংবাদ সম্মেলণ করেছেন একই পরিবারের পাঁচ কন্যা। বুধবার বেলা এগারটায় বরিশালের গৌরনদী উপজেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে উপজেলার খাঞ্জাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ হাওলাদারের কন্যা সাবিনা ইয়াসমিন সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, উপজেলার খাঞ্জাপুর মৌজার ১৭ শতক জমি নিয়ে তাদের সৎ চাচা আলী আকবর হাওলাদার, হারুন অর রশিদ হাওলাদার গংদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৪ জুন তার (সাবিনা ইয়াসমিন) দখলে থাকা জমিতে জোরপূর্বক টিউবওয়েল ও মুরগীর খামার স্থাপন করতে যায় তার চাচা আলী আকবর হাওলাদার, হারুন অর রশিদ হাওলাদার, তাদের চাচাতো ভাই রকিব হাওলাদার, অনিক হাওলাদার এবং তাদের আত্মীয় গিয়াস উদ্দিন মৃধা ও আকবর হোসেন। এ ঘটনায় সে (সাবিনা ইয়াসমিন) ৪ জুন গৌরনদী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করলে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে টিউবওয়েল স্থাপন কাজ বন্ধ দেয় থানা পুলিশ। এরপরও বিবাদীরা ওই সম্পত্তি বিভিন্ন ভাবে দখলের পায়তারা করলে গত ৯ জুন বরিশাল বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৪৪/৪৫ ধারা জারির জন্য আবেদন করা হয়। আদালত ওইদিনই বিরোধীয় জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করলে বিবাদীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এরইমধ্যে গত ১১ জুন তাদের সৎ চাচা হারুন হাওলাদার বাদী হয়ে ৪ জুন ঘটনার প্রেক্ষিতে সাবিনা ইয়াসমিন এবং তার আরো ছয় বোন বকুল বেগম, মুকুল বেগম, মঞ্জু বেগম, রেশমা খানম, রুমা খানম ও রেবা খানমের বিরুদ্ধে গৌরনদী মডেল থানায় একটি মিথ্যে জিডি করেন। সাবিনা ইয়াসমিন আরও বলেন, জিডিতে তার যেসকল বোনদের বিবাদী করা হয়েছে তারা কেউই বাড়িতে থাকেননা। অথচ হয়রানির জন্য তাদের নাম জিডিতে অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে। এমনকি ওই জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা গৌরনদী মডেল থানার এএসআই ফারুক হোসেন প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করে এক তরফাভাবে তার পাঁচবোনের নামে আদালতে প্রসিকিউশন দাখিল করেছেন। ফলে আদালত থেকে তার পাঁচবোনের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়েছে। আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে প্রসিকিউশন দাখিল করায় এএসআই ফারুকের শাস্তির দাবী জানান এবং মিথ্যে অভিযোগ থেকে অব্যহতি পেতে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।