করোনাভাইরাস যখন নীলফামারীতে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ঠিক তখনই ক্ষেতে ভালো ধানের ফলনে হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে। কিন্তু করোনার কারণে ধান কাটার শ্রমিক সংকট দেখা দেয়।
নীলফামারী জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মো, আরিফ ইসলামের নেতৃত্বে সংগঠনের একঝাঁক নেতা-কর্মী হাতে কাস্তে আর কোমরে গামছা বেধে মুখে মাস্ক পড়ে ধান কাটেন। উত্তপ্ত রোদে এক একর জমি থেকে ধান কেটে নিয়ে কৃষকের উঠানে মাড়াইয়ের কাজ শেষে গোলায় তুলে দেন তারা।
এদিকে দেশের ক্রান্তিলগ্নে ছাত্রলীগের কাছ থেকে বিনাপয়সায় এমন স্বেচ্ছাশ্রম পেয়ে আবেগ আপ্লুত কৃকষরা। হঠাৎ বৈশাখী ঝড় বৃষ্টিতে জমির ধান নুয়ে পড়ায় দিশেহারা হয়ে উঠেন তারা। শ্রমিক ও আর্থিক সংকটময় পরিস্থিতিতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের পাশে এগিয়ে আসায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ছাত্রলীগের নেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন কৃষক নরেস সিংহ।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মো. আরিফ ইসলাম জানায়, প্রান্তিক মানুষের হাসি মুখ দেখার জন্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তার স্বপ্নের ফেরিওয়ালা হয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা দেশের সংকটে, দুর্যোগে, সম্ভাবনায় সবসময়ই কাজ করে যাচ্ছে। কৃষকের সোনালী ধানের ক্ষেতের হাসি যেন মলিন না হয় তার জন্য কাজ করছে ছাত্রলীগ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মো, আরিফ হোসেন সহ-সভাপতি নীলফামারী ছাত্রলীগ, মো: তুহিন ইসলাম চয়ন রায়, সাবু ইসলাম, শাহিন ইসলাম, মারুফ ইসলাম, মো. হানিফ ইসলাম, রকিব ইসলাম, আলামিন হোসেন, সুমন ইসলামসহ আরো অনেকে।
এমআর/প্রিন্স