ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিজ রাজ্য গুজরাটের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতা ভুপেন্দ্র প্যাটেল। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানির পদত্যাগের একদিন পর রোববার রাজ্য বিজেপির এক বৈঠক শেষে বিধানসভার দলীয় নেতা হিসেবে প্যাটেলকে নির্বাচিত করা হয়। খবর এনডিটিভি, আনন্দবাজারের
গুজরাটের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী আনন্দিবেন প্যাটেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত ভুপেন্দ্র প্যাটেল ঘাটলোদিয়া আসনের বিজেপি দলীয় বিধায়ক তিনি। গত নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী শশীকান্ত প্যাটেলের বিরুদ্ধে ১ লাখ ১৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। আহমেদাবাদ পৌর করপোরেশনের স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন এই নেতা। রাজ্যের পরবর্তী নির্বাচনের এক বছর আগে অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবে শনিবার মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি। রাজ্যে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলার কৌশল নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বিজয় রুপানির প্রতি নাখোশ ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রুপানির পদত্যাগের পর রোববার বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষের উপস্থিতিতে রাজধানী গান্ধীনগরে গুজরাট বিজেপির দলীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে গুজরাটের রাজ্য সভাপতি সি আর পাতিল, সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি, উপ-মুখ্যমন্ত্রী নীতিন প্যাটেল, কেন্দ্রীয় সুপারভাইজার নরেন্দ্র সিং তোমর, প্রহ্লাদ যোশী এবং তরুন চুগের মতো নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এই বৈঠক থেকেই সর্বসম্মতিক্রমে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নাম হিসাবে উঠে আসে পাতিদার স¤প্রদায়ের নেতা ভুপেন্দ্র প্যাটেলের। আগামী বছরের শুরুর দিকে গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচনের কথা রয়েছে। তার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী বদল নিয়ে নানা প্রশ্ন বাতাসে ভাসছে।
২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তার উত্তরসূরি মনোনীত হন আনন্দিবেন। ২০১৬ সালের আগস্টে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনিও; মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন রুপানি। তার নেতৃত্বেই ২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটে জয় পায় বিজেপি। পরে দ্বিতীয়বারের মতো গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন বিজয় রুপানি। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার ১ বছর আগেই রুপানি পদত্যাগ করেন। এবার তার স্থলাভিত্তিক হলেন জনতা পার্টির ভূপেন্দ্র প্যাটেল।