গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলা জুড়ে ফসলী জমি থেকে অবৈধ্যভাবে মিনি ড্রেজার দিয়ে বালু ও মাটি উত্তোলন করে জমজমাট বানিজ্য করে আসছে একটি প্রভাবমালী মহল। এতে আশেপাশের জমি ও সড়ক ধসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানেই ফসলী জমি থেকে মিনি ড্রেজার দিয়ে অবৈধ্য ভাবে বালু ও মাটি উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। প্রতিদিনই শতাধিক অবৈধ্য ড্রেজার দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আবাদি জমি গর্ত করে বালু উত্তোলন করে আসছে প্রভাবশালী মহল। এতে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ওই প্রভাবশালী মহল। সুযোগ পেলেই তারা বালু ও মাটি উত্তোলন শুরু করে। ওই প্রভাবশালী মহল কোন লোকের কথায় কর্ণপাত করে না। এই বালু খেকোরা দিনের পর দিন উপজেলার বিভিন্ন সরকারি রাস্তার খালসহ খাল, বিল, নদী-নালা থেকে অবৈধ্য ভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। এতে পাকা রাস্তা ও রাস্তার আশে পাশের বাড়ি-ঘর হুমকীর মুখে পড়ছে। কয়েক দফায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রথীন্দ্র নাথ রায় সরকারি খাল ও নদীতে ড্রেজার বসানো খবর পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে তিনি তাদের তুলে দিয়েছেন। তার পরও অবাধে বালু উত্তোলন করছে তারা। এলাকাবাসী জানায়,ফসলী জমি থেকে বালু উত্তোলন করলে আসে পাশের জমিতে গর্ত ও সুড়ঙ্গ সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে আবাদী জমি নষ্ট হচ্ছে। হুমকীর মধ্যে পড়ছে কৃষি। মারাতœক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে কৃষি উৎপাদন। ফসলী জমি থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করা হলেও কোন প্রকার উদ্যেগ নেয়নি প্রশাসন এমটি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এভাবে বালু উত্তোলন করা হলে এবং দ্রুত এদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা না নিলে এক সময়ে কাশিয়ানীতে আবাদী জমি খুজেঁ পাওয়া যাবে না। বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকেলে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হবে। খাদ্য স্বংস্পূর্ণ এই উপজেলায় দেখা দিতে পারে খাদ্য ঘাটতি। খোজঁ-খবর নিয়ে দেখাগেছে, কাশিয়ানী উপজেলায় শাতাধিক ড্রেজার নিয়মিত প্রতিদিনই বালু ও মাটি উত্তোলন করে আসছে। এরা এলাকার জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশারীদের ছত্রছায়ায় ফুলেফেপে উঠছে। এরা প্রভাবশালী ও জনপ্রতিনিধিদের ছত্রছায়ায় থাকার ফলে এলাকার শান্তি প্রিয় মানুষ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। কেই প্রতিবাদ করলে প্রতিবাদকারিদের মামলায় ফাসাঁনোর ভয় দেখানো হয়। তাদের বিরুদ্ধে চাদাঁবাজি মামলার করা হুমকী দেয় ফলে কেউ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। ফলে প্রতিদিন তারা ফসলী জমি ধ্বংস করে চলেছে। এসব বালু ব্যবসায়ী বালু উত্তোনের জন্য উপজেলা ও জেলা প্রসাশনের কোন প্রকার অনুমতি নেওয়ার চেষ্টা পর্যন্ত করে না। বছরের পর বছর তারা অবৈধ্য ভাবে ফসলী জমি থেকে বালু উত্তোলন করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থাই নেওয়া হয় না। ফলে তারা আইনের তোয়াক্কা না করে অবাধে ফসলী জমি ধ্বংস করে চলছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে উপজেলার নিন্মাঞ্চল সিংগা, হাতিয়াড়া, নিজামকান্দি, পুইসুর, বেথুড়ী, ওড়াকান্দি, মাহমুদপুর,পারুলিয়া ইউনিয়নের সকল মাঠ পানিতে প্লাবিত হয়ে যায়। এলাকা প্লাবিত হয়ে যাওার সাথে সাথে বেপরোয়া উঠে এসব বালু ববসায়ীরা। তারা ইচ্ছা মত ফসলী জমি থেকে বালু উত্তোলন করে। ফলে এ উপজেলার প্রতিদিনই কৃষি জমি কমছে। ফলে সামনের দিনগুলিতে দেখা দিতে পারে খাদ্য ঘাটতি। এলাকার সচেতন মহলের দাবী দ্রুত তাদের আইনের আওতায় আনা না হলে এই উপজেলায় চরম বির্পযায় দেখা দিতে পারে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রথীন্দ্র নাথ রায় বলেন, ইতি পূর্বে বালুর ড্রেজার উচ্ছেদ করতে অভিযান চালানো হয়েছে। আবারও জোরেসোরে ড্রেজারের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।