বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের ৩৮৭তম সভা অনুষ্ঠিত অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে দ্রুত জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে -আমান শ্রীমঙ্গলে নারী চা শ্রমিক-কর্মজীবী নারীর প্রতি সহিংসতা ও বৈষম্য নিয়ে সংলাপ কালীগঞ্জে সরকারি মাহতাব উদ্দিন কলেজে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম : আতঙ্কে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বগুড়ার শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত-নিহতদের স্মরণসভা দেশবিরোধী চক্রান্তকারীদের দাঁত ভাঙা জবাব দেওয়া হবে-রেজাউল করিম বাদশা দুর্গাপুরে আইনজীবীদের মানববন্ধন কয়রায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণ সভা ও সাংস্কৃতিক ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মুন্সীগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধের প্রতিবাদে জলঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ দুর্গাপুরে শেষ হলো দুইদিন ব্যাপি কৃষিবিষয়ক প্রশিক্ষণ

বাজার দরে চাপে সাধারণ মানুষ

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১

দফায় দফায় রাজধানীর বাজারগুলোতে বাড়ছে সবজির দাম। এর সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মুরগি ও ডিম। মাছের দামও বেশ চড়া। ফলে বাজারে গেলে স্বস্তি পাচ্ছেন না সাধারণ ক্রেতারা।
গতকাল শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আগেই বেড়ে যাওয়া মুরগির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে আরও একটু বেড়েছে। সেই সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। বাজারে এখন বেশিরভাগ সবজির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকার ওপরে। সবজি ও মুরগির চড়া দামের বিষয়ে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে সবজির সরবরাহ সাধারণত কম থাকে। এ কারণে সবজির দাম একটু বাড়তি থাকে। এর সঙ্গে এবার বন্যায় অনেক সবজির খেত ও মুরগির ফার্ম নষ্ট হয়ে গেছে। যার প্রভাবে সবজি ও মুরগির দাম বেড়ে গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৫৫ থেকে ১৬৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা। আর চলতি মাসের শুরুর দিকে ছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকার মধ্যে। ব্রয়লার মুরগির মতো পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির দাম চলতি মাসে দফায় দফায় বেড়েছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে ২১০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া সোনালি মুরগির দাম কয়েক দফা বেড়ে এখন ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। মুরগির এই দাম বাড়ার বিষয়ে কাপ্তান বাজারের ব্যবসায়ী মো. রুবেল বলেন, খামারিরা জানিয়েছে বন্যায় অনেক খামার ভেসে গেছে। ফলে বাজারে মুরগির সরবরাহ কমেছে। আবার লকডাউন উঠে যাওয়ায় এখন সবকিছু খুলে গেছে। হোটেল-রেস্তোরাঁয় বিক্রি বেড়েছে। এতে বাজারে মুরগির চাহিদা বেড়েছে। সবকিছু মিলে মুরগির দাম বেড়ে গেছে।
মুরগির সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম। ফার্মের মুরগির এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা। আর মুদি দোকানে এক পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১১ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে চলতি মাসের শুরুতে এক ডজন ডিম ৯০ থেকে ৯৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছিল। সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা গত সপ্তাহের মতো শীতের আগাম সবজি শিমের কেজি বিক্রি করছেন ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। গাজর ও টমেটোর কেজি বিক্রি করছেন ১০০ থেকে ১২০ টাকা। এ দুটি সবজির দামও সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে।
এই তিন সবজির সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ঝিঙে, চিচিঙ্গা, বরবটি, ঢেঁড়স, পটল, করলা। ঝিঙের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়সের কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে, বরবটির কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এ সবজিগুলোর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এছাড়া কাঁচা পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা, কাঁচকলার হালি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, লালশাকের আঁটি ১৫ থেকে ২৫ টাকা, মুলা শাকের আঁটি ১০ থেকে ২০ টাকা, কলমি শাকের আঁটি ৫ থেকে ১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এগুলোর দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে। সবজির দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী আয়নাল মিয়া বলেন, এই সময় শীতের সবজি খুব একটা পাওয়া যায় না। আবার গ্রীস্মের সবজির সরবরাহ কমে আসে। এর সঙ্গে এবার বৃষ্টি ও বন্যায় অনেক খেত নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে বাজারে সবজির সরবরাহ কম। এ কারণেই দাম বেশি। রামপুরার ব্যবসায়ী নাসির বলেন, আড়তে এখন পটল, ঢেঁড়সসহ অন্যান্য সবজির সরবরাহ তুলনামূলক কম। ব্যাপারীরা জানাচ্ছেন তারা ঠিকমতো সবজি সংগ্রহ করতে পারছেন না। চাষিরা বাজারে সবজি কম নিয়ে আসছেন। এসব কারণেই সবজির দাম বেড়েছে। এদিকে মাছ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৮০ টাকা। মৃগেল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা। তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি। পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা। পাঙাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা। আগের মতো বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। বড় (এক কেজির ওপরে) ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১৩০০ টাকা। মাঝারি আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি। আর ছোটগুলো ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ইলিশের অপরিবর্তিত রয়েছে।
কারওয়ান বাজারে বাজার করতে আসা ইব্রাহিম হোসেন বলেন, বাজারে সবকিছু দাম ব্যাপক চড়া। ৫০ টাকার নিচে সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। চাল, ডাল, তেল, চিনি তো অনেক আগে থেকেই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। জিনিসপত্রের এমন দাম আমাদের মতো স্বল্প আয়ের মানুষগুলো বেশি বিপদে রয়েছে। তিনি বলেন, চাল, তেল, চিনির দাম কিছুতেই স্বাভাবিক না। এসব নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব যাদের তারা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করছে না। এই যে সরকার থেকে চিনির দাম বেঁধে দেওয়া হলো, দুই সপ্তাহের বেশি হয়ে গেলেও এখনো বেঁধে দেওয়া দামে চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু আজ পর্যন্ত শুনলাম না চিনির দাম নিয়ন্ত্রণে কোনো বাজারে অভিযান চালানো হয়েছে।
রামপুরার বাসিন্দা মো. মামুন বলেন, মাছ, মাংস, চাল, তেলের দাম অনেক আগে থেকেই বাড়তি। তবে ব্রয়লার মুরগি কিছুটা কম দামে পাওয়া যাচ্ছিল। কিন্তু গত দুই সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়ে গেছে। সবজির দামও অনেক। সবকিছু মিলে সাধারণ মানুষ বেশ কষ্টে আছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com