খেলার মাঠে খালেদ মাসুদ পাইলট যতটা জনপ্রিয় ছিলেন ভোটের মাঠে দেখা তার ঠিক উল্টো চিত্র। বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচনে বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক পেয়েছেন মাত্র ২ ভোট। সর্বোচ্চ ৫৩ ভোট পেয়েছেন বিসিবির সদ্য সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। গত বুধবারের এই নির্বাচনে ১৬টি পরিচালক পদের বিপরীতে লড়াই করেছেন সর্বসাকুল্য ২২ জন প্রার্থী। যদিও শেষমুহূর্তে এসে নাম সরিয়ে নেন ৩ জন প্রার্থী। তবে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচনী ব্যালটে নাম ছিল তাদের। তাদের কেউই অবশ্য নির্বাচিত হননি। সর্বমোট ২৩টি পরিচালক পদের লড়াইয়ে আগেই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন ৭ জন। বাকি ১৬ পদের লড়াইয়ে ভোটার ছিলেন ১২৭ জন। যেখানে ভোট দিয়েছেন ১২১ জন। এবার নির্বাচন হয়েছে ৩ ক্যাটাগরিতে। যেখানে সশরীরে ভোট দিয়েছেন ৫৮ জন। পোস্টাল আর ই-ব্যালটে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ৬৩ জন। এবারের নির্বাচনে সর্বোচ্চ ৫৩ ভোট পেয়েছেন সদ্য সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এই বিভাগে ৫৭ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ৫৩টি। সর্বনিম্ন ২টি ভোট পেয়েছেন খালেদ মাসুদ পাইলট। রাজশাহী বিভাগে তিনি যেখানে লড়ছেন সেখানে ভোটার সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ ৯ জন। ক্যাটাগরি-১ এর ঢাকা বিভাগ থেকে চূড়ান্তভাবে বিজয়ী হয়েছেন এ.এম নাঈমুর রহমান দুর্জয় এমপি (মানিকগঞ্জ)। তিনি ভোট পেয়েছেন ১৭টি। যেখানে ১৬ ভোট সশরীরে এবং একটি ভোট পেয়েছেন ই-ব্যালটের মাধ্যমে। একই ব্যবধানে এই ক্যাটাগরি থেকে পাস করেছেন তানভীর আহমেদ টিটু (নারায়নগঞ্জ)। এই ক্যাটাগরি থেকে সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু (কিশোরগঞ্জ) ও মোহাম্মদ খালিদ হোসেন (মাদারীপুর) নিজেদের সরিয়ে নেয়ায় কোনো ভোট পাননি।
ক্যাটাগরি-১ এ রাজশাহী থেকে খালেদ মাসুদ পাইলট পেয়েছেন সর্বসাকুল্য ২ ভোট। যেখানে ১টি তিনি নিজে দিয়েছেন মিরপুরে এসে, আরেকটি ই-ব্যালটে এসেছে। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাইফুল আলম স্বপন ৭ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। যেখানে ৩টি সশরীরে এবং বাকি ৪টি ই-ব্যালট আর পোস্টালে। ক্যাটাগরি-২ অর্থাৎ ক্লাব ক্যাটাগরি থেকে সর্বোচ্চ ৫৩ ভোট পেয়েছেন পাপন। যেখানে ১৮টি সশরীরে ও বাকি ৩৫টি ভোট পান পোস্টাল ও ই-ব্যালটের মাধ্যমে। পাপনের সমান ৫৩টি ভোট পেয়েছেন গাজী গোলাম মুর্তজা (গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স, ১৮টি সশরীরে ও বাকি ৩৫টি পোস্টাল ও ই-ব্যালটের মাধ্যমে) এবং এনায়েত হোসেন সিরাজ (আজাদ স্পোর্টিং, ১৮টি সশরীরে ও বাকি ৩৫টি পোস্টাল ও ই-ব্যালটের মাধ্যমে)।
মোহাম্মাদ ঈসমাইল হায়দার মল্লিক (শেখ জামাল ক্রিকেটার্স, ৫২ ভোট), নজিব আহমেদ (শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব, ৫১ ভোট), মাহবুব আনাম (মোহামেডান স্পোটিং ক্লাব, ৪৭ ভোট), ওবেদ রশীদ নিজাম (শাইনপুকুর ক্লাব, ৫১ ভোট), সালাউদ্দিন চৌধুরী (কাকরাইল বয়েজ, ৪৯ ভোট), মঞ্জুর হোসেন কাদের (ঢাকা এসেটস, ৪৯ ভোট), এবং মনজুর আলম (আসিফ শিফা ক্রিকেট অ্যাকাডেমি, ৪৬ ভোট), ফাহিম সিনহা (সূর্যতরুণ, ৫১ ভোট), ইফতেখার রহমান মিঠু (৫০ ভোট)।