দীর্ঘ সময় মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রার্দূভাবের কারণে স্থানীয় পরিষদ নির্বাচন গুলো বন্ধ থাকলেও করোনা পরবর্তী নির্বাচন কমিশন পুর্ণরায় ২য় দফায় নির্বাচনের তফশীল ঘোষনায় প্রার্থীরা নড়েচড়ে বসেছে। এরই ধারাবাহিকতায় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ৭নং কুসুম্বা ইউনিয়ন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন ও নৌকা মার্কার প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে আগ্রহী জয়পুরহাট সরকারী কলেজের সাবেক প্রো ভিপি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক ফকর উদ্দিন চৌধুরী শিপন। তিনি ১৯৭৯ সালে উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের ধুরইল গ্রামের সনভ্রান্ত এক রাজনৈতিক পরিবারে জম্ম গ্রহণ করেন। ১৯৯৫ সালে জয়পুরহাট সরকারী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সদস্য পদ প্রাপ্তির মাধ্যমে রাজনীতিতে পা রাখেন। এরপর তিনি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হয়ে কলেজ শাখা ছাত্রলীগকে সুসংঘটিত করেন। তিনি ২০০০-২০০১ শিক্ষাবর্ষে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগ মনোনীত প্যানেল থেকে প্রো ভিপি এবং জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বর্তমানে উপজেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, তার দাদা মরহুম তাছের উদ্দিন চৌধুরী এ ইউনিয়নের দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে পঞ্চায়েত ছিলেন। বাবা মরহুম তোজাম্মেল হোসেন চৌধুরী মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতিসহ উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ছিলেন। এরশাদ বিরোধী আন্দোলন ও জোট সরকাকারের নিপিরণের প্রতিবাদে সকল আন্দোলনে সামনের কাতারে থেকে নেতৃত্ত্ব দিয়েছেন। শুধু তাই নয় আওয়ামীলীগের দূর্দিনে আর্থিক ভাবে সহযোগিতা করে গেছেন। তার বাবা মরহুম তোজাম্মেল হোসেন চৌধুরী অত্র ইউনিয়নে দু দু বার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে সামান্য ভোটের ব্যবধানে হেরে গেছেন। ফকর উদ্দিন চৌধুরী শিপন বলেন, জম্ম সূত্রে তিনি একজন খাঁটি আওয়ামী পরিবারের সন্তান। দাদা বাবার দেখানো পথ ধরেই কুসুম্বা ইউনিয়নের জন সাধারণের পাশে থেকে বিভিন্ন ধরনের সেবামূলক কাজে অংশ গ্রহণের মাধ্যমে এ ইউনিয়নের আপামর জন সাধারণের সাথে একটা নিবির সর্ম্পক গড়ে উঠেছে। ছাত্র রাজনীতি থেকে বর্তমান পর্যন্ত আওয়ামীলীগ রাজনীতির সকল কর্মসূচীতে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করেছেন তিনি। সে কারণে ২০১৩ সালে কুখ্যাত রাজাকার কাদের মোল্লার ফাঁসির রাতে জামাত বিএনপির সন্ত্রাসীরা তার বাড়িঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেন। শুধু তাই নয় শারিরিক ভাবে নির্যাতন চালিয়ে তার পা ভেঙ্গে ফেলেন। এমনকি গোটা পরিবারকে দীর্ঘ দিন ধরে জিম্মি করে রাখেন ঐ সন্ত্রাসীরা। দলীয় মনোনয়ন পেলে আগামীতে কুসুম্বা ইউনিয়নে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন বলে আশাবাদী তিনি। তবে দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে কাজ করে যাবেন বলে তিনি জানান।