কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাঝখানে বুক চিরে বয়ে যাওয়া কোহেলিয়া নদের অস্তিত্ব ও বিলীন হতে চলেছে। ভূমি দস্যুরা নদের জমি দখল করে চিংড়ি ঘের, এমনকি অবৈধ ¯’াপনা তৈরি করে চলেছে। প্রশাসন রহস্যজনক কারণে ওইসব ভূমিদস্যুর বিরুদ্ধে কোন ব্যব¯’া নিতে পারছে না। ফলে নদটি দিন দিন সঙ্কুচিত হয়ে যা”েছ। আর সেই দ্বারাখাল এখন অস্তিত্ব সঙ্কটে। ¯’ানীয়রা জানান, এক সময়কার প্রমত্তা কোহেলিয়া নদ ছিল এ অঞ্চলের মানুষের একমাত্র আশা ভরসা। জীবন জীবিকার প্রধান উৎস ছিলো কোহিলায় নদী। এ নদ দিয়ে নৌকা যোগে বিভিন্ন পণ্য আমদানি রফতানি করা হতো। নদ সংলগ্ন গ্রামের হাজার হাজার মানুষ (মাতারবাড়ী-কালারমারছড়া-ধলঘাটা) নদ থেকে মৎস্য আহরণ করে জীবন যাপন করতেন। কিš‘ এলাকার অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের মূল ভিত্তি কোহেলিয়া নদ এখন কালের বিবর্তনে প্রায় মৃত। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভূমিদস্যু ও লোলুপ দৃষ্টি ভঙ্গির মানুষ যুগযুগ ধরে কোহেলিয়া নদকে নানানভাবে ধ্বংস করে যা”েছ। প্রশাসন ধারাবাহিকভাবে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলেই অসাধু ব্যক্তিদের সাহস সীমাহীনভাবে বেড়ে গেছে। তানির্দ্বিধায় কোহেলিয়া নদে দখলযজ্ঞ চালিয়ে যা”েছ। সরেজমিনে দেখাগেছে, ভূমিদস্যুরা নদের জমি দখল করে কোহেলিয়া ভয়ে যাওয়া নদ গ্রাস করে ফেলেছে। কোন ¯’ানে তৈরি করা হয়েছে উঁচু প্রাচীর, অবৈধ ¯’াপনা। অনেক ¯’ানে নদের মধ্যে ঘের নির্মাণ করা হয়েছে। কোন কোন ¯’ানে নদের বুকে গাছ উচি করে ও কিছু জায়গায় নদকে অবৈধভাবে দখল করে হঠাৎ ব্যবসায়ীক ও বসবাসের ¯’াপনা তৈরি করা হয়েছে। এমনকি সকড়টি সরকারের বৃহৎ প্রকল্প কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একমাত্র সড়ক। এভাবে প্রতিনিয়তই নদের জমি দখলের প্রতিযোগিতা চলছে। এমনও দেখা গেছে নদের মধ্যেই তৈরি করা হয়েছে চিংড়ি ঘের। মহেশখালী উপজেলা কালারমারছড়া ইউনিয়নের চালিয়াতলী-মাতারবাড়ী সংযোগ সড়ক দ্বারাদিয়া খাল অংশে নদের সীমানার মধ্যে গাছের খুঁটি এবং টিনের ঘেরা দিয়য়েছে হয়েছে। ফলে নদের স্বাভাবিক গতি নষ্ট হয়ে। নদের গতিস্রোত নষ্ট হওয়ার ফলে কিছু কিছু ¯’ানে পট কঁচুরিপানার সৃষ্টি হয়ে নদ ভরাট হয়ে যা”েছ। নদ পাড়ের জেলে জাকের ও নিজাম উদ্দীনসহ অনেকে জানান, নদ আর নদ নেই। এই নদে সরকারীভাবে প্রতিবছর মাছ অবমুক্ত করা হয়। কিš‘ রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে প্রভাবশালীরা দখল করে মাছ চাষ করে। ফলে গরিব জেলেরা এ মাছ আহরণ করতে বিঘœ সৃষ্টি হয়। যার দরূন তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে দিনাতিপাত করেছেন। অবৈধভাবে নদ দখল বিষয়ে মহেশখালী উপকূলীয় বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ আনিছুল ইসলাম বলেন, সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা দ্রুত কোহেলিয়া নদকে দখলমুক্ত করব। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্দেশনা না মানলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যব¯’া নেয়া হবে।