সোনাগাজীর মতিগঞ্জে সাজানো ধর্ষন মামলায় ফাঁসাতে না পেরে গুজব অপ-প্রচার ও ষডযন্ত্র অব্যহত রাখার প্রতিবাদে কতিপয় বিএনপি সমর্থিত লোকজনের নাম উল্লেখ করে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন মতিগঞ্জ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি তমিজ উদ্দিন নয়ন। সোনাগাজী পৌর-শহরের ফুড গার্ডেন রেষ্টুরেন্টে উক্ত সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে নয়ন বলেন, আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে ছাত্র জীবন থেকেই অধ্যবদি আওয়ামী রাজনিতীর সাথে জডিত আছি, আমি নিষ্ঠা ও সততার সাথে সারা জীবন জাতির পিতার আদর্শকে বুকে ধারন করে পথ চলা এই রাজনৈতিক জীবনে বিভিন্ন দুঃসময়ে অনেক আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নিয়েছি, কঠিন ত্যাগ শিকার করেছি, যা আমার দলের উপজেলা ও জেলার নেতৃবৃন্দ অবগত আছেন। গত ২০১৯ সালে ইউনিয়ন কমিটির কাউন্সিলে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রফেসর মফিজুল হক, সাধারণ সম্পাদক ও সোনাগাজী পৌরসভার জনপ্রিয় মেয়র এডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন, সহ-সভাপতি ও মতিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের জননন্দিত চেয়ারম্যান রবিউজ্জমান বাবু ভাই সহ উপজেলা নেতৃবৃন্দের আন্তরিক সুপারিশে, ফেনী জেলা আওয়ামীলীগের বিপ্লবি সাধারণ সম্পাদক ফেনীর গণ মানুষের নেতা নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপি’র আন্তরিকতায় আমি মতিগঞ্জ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত হই। আমার পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক কার্য্যক্রম অবলোকন করে এলাকার সাধারন মানুষজন আমাকে ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন, আমার জনপ্রিয়তায় ঈশ্বন্বিত হয়ে এলাকার কতিপয় চিহ্নিত বিএনপি জামায়াতের লোক আমার বিরুদ্ধে ষডযন্ত্র শুরু করে, এসব ষডযন্ত্রকারীরা হলো- মোশারফ হোসেন, নুর আলম, বেলায়েত হোসেন, মোর্শেদ আালম রনি, এমরান হোসেন প্রমূখ। উল্লেখিত ব্যাক্তিবর্গ আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্শান্বিত হয়ে আমাকে রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য বিগত ২০২০ সালের ০৯ অক্টোবর তারিখে স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা মোশারফ হোসেনের স্ত্রী রীনা বেগম কে বাদী করে তার শিশু সন্তান কে ভিকটিম দেখিয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় আমার নামে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন ধর্ষন মামলা রুজু করলে পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। আদালতে বাদী ও ভিকটিমের দেয়া জবানবন্দি অসংলগ্ন মনে হলে বিজ্ঞ আইনজিবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে কথিত ধর্ষিতার ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ঢাকাস্থ সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবরটরিতে আলামত প্রেরণ করার আদেশ দেন আাদালত। ফরেনসিক বিভাগের ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্টে আমার সাথে উক্ত ভিকটিমের শারীরীক সম্পর্কের কোন আলামত পাওয়া যায়নি, উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইতোমধ্যে আদালতে “অভিযোগপত্র “ দাখিল করেছেন, যাতে সিআইডির ফরেনসিক পরীক্ষার কথা উল্লেখ পূর্বক পেনাল কোডের ৫০৫ ধারার অপরাধের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। বর্তমানে নারী ও নিশু নির্যাতনের সংশোধিত ধারা মতে নারী শিশু আইনে মিথ্যা অভিযোগ কারীর বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান থাকায় আমি মামলার বাদী ও সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য উল্লেখিত ব্যাক্তিরা যে জগন্য কাজ করেছে আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমার বিরুদ্ধে এমন ভিত্তিহীন মিথ্যা ও কাল্পনিক অভিযোগ এনে তারা মূলত বঙ্গবন্ধুর আওয়ামীলীগ কে হেয় করার অপচেষ্টা করেছে, বঙ্গবন্ধু কণ্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন অগ্রগতি কে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করেছে, ফেনীর গণমানুষের নেতা সাংসদ নিজাম হাজারীর নেতৃত্ব কে হেয় করার অপচেষ্টা করেছে, আমি এসব অপপ্রচারকারী ও মিথ্যা নাটক সাজানো কারীদের বিষয়ে জাতির জনকের কণ্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ফেনীর গণমানুষের নেতা নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপি, সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র এডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন, এবং সহ-সভাপতি ও মতিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউজ্জমান বাবুর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।