আগামীকাল মর্ত্যে আসছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দেবী দুর্গা। দিকে দিকে শরতের কাশফুল জানান দিচ্ছে- খুব কাছে এসে গেছে শারদীয় উৎসব। গতকাল ১১ অক্টোবর ষষ্ঠীপূজার মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে পূজার আনুষ্ঠানিকতা! আগামী শুক্রবার বিজয়া দশমী ! তাই প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ করেছেন প্রতিমা শিল্পীরা। রং, তুলির ও সাজসজ্জার দাম বেশি হওয়া ও প্রতিমা বানানোর মজুরি কম পাওয়ায় চাপা ক্ষোভ দেখা গেছে তাদের মাঝে! জেলার সবচেয়ে প্রাচীন প্রতি মন্দির গুলোতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যেন দম ফেলার সময় নেই কারিগরদের। সুনিপুণ হাতে রংতুলির ছোঁয়ায় দেবীকে রাঙিয়ে তুলতে ব্যস্ত শিল্পীরা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কেউ কাঁদা তৈরি করছে, কেউ কাঁদা থেকে হাত-পা বানাচ্ছে আবার কেউ ব্যস্ত রং করায়। মাটি দিয়ে সুনিপুণ হাতে তৈরি করছেন কারুকাজময় অলংঙ্কার। আর সেই অলংঙ্কার প্রতিমার শরীরে জড়িয়ে দিয়ে সাজিয়ে তুলেছেন অনন্যা রূপে। এক প্রতিমা শিল্পী বলেন, প্রতিমা তৈরির উপকরণের দাম বৃদ্ধিতে আমাদের খরচও বেড়েছে। কিন্তু পারিশ্রমিক তেমন একটা বাড়েনি। বছরের অনেকটা সময় আমাদের অলসভাবেই কর্মহীন ভাবে থাকতে হয়। বছরের চার মাস থাকে প্রতিমা তৈরির কাজ। উপযুক্ত পারিশ্রমিক না পেলে এই পেশা তাদের ছাড়তে হবে বলেও জানান। তিনি আরও বলেন, এক সময় এই এলাকায় অনেক মানুষ এই পেশার সাথে জড়িত থাকলেও এখন হাতে গুনা কয়েকজন আছে। তাই এই পেশায় সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন। পাঁচবিবি শ্রী শ্রী কালী মন্দির পূজামন্ডব কমিটির সভাপতি শ্রী ভোজন কুমার মহন্ত জানান এবারে জয়পুরহাটের ৫টি উপজেলায় মোট ৩১৩ পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে,তার মধ্যে জয়পুরহাট সদরে ১০৫টি। পাঁচবিবিতে প্রায় ৭৩টি। এ দিকে পূজা নির্বিঘেœ সম্পন্ন করতে এবং করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুর্গোৎসব পালনে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রশাষন। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে হলেও জেলার প্রত্যেকটি উপজেলায় শান্তিপূর্ণ ও আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়েই পূজা উদযাপন করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে!!