বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত মাইলস্টোন কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বনফুল আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজে মনমাতানো ক্লাস পার্টি অনুষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের সরকারের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান অধ্যাপক ইউনূসের রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির দেশমাতৃকার বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী চক্রান্ত থেমে নেই: তারেক রহমান তুর্কি রাষ্ট্রদূতের সাথে জামায়াতের সৌজন্য সাক্ষাৎ চিন্ময় সমর্থক জঙ্গীদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নিহত অভ্যন্তরীণ বিষয় হস্তক্ষেপ: চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের উদ্যোগ শাপলা চত্বরে গণহত্যায় হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

১০ কোটির লোনে ৫ কোটি টাকা ঘুষ লাগে : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২১

১০ কোটি টাকা লোন নিলে ৫ কোটি টাকা ঘুষ দিতে হয় মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার আমাদের ব্যাংকিং ব্যবস্থা একেবারে বিনষ্ট করে দিয়েছে। পুরোপুরিভাবে লুট করে নিয়ে গেছে। প্রতিটি ব্যাংক আজকে বিপদগ্রস্ত হয়ে আছে। প্রতিটা ব্যাংকই প্রায় দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার অবস্থা হয়ে গেছে। বিএনপি’র সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম অ্যাডভোকেট আফসার আহমদ সিদ্দিকী’র ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আযোজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল বুধবার ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটে (ডিআরইউ) এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ব্যাংক থেকে আওয়ামী লীগের লোকেরা ছাড়া কেউ লোন পায় না। ব্যাংকগুলোর ডায়রেক্টরও ওই আওয়ামী লীগের লোক। ১০ কোটি টাকা লোন নিলে তাদের পাঁচ কোটি টাকা ঘুষ দিতে হয়। আর বাকি পাঁচ কোটি টাকা ফেরত দিতে হয় না। কারণ আওয়ামী লীগের হুকুমে হয়েছে। ওই লোন ফেরত না দিলেও চলবে। এই হলমার্কসহ যতকিছু দেখছেন প্রত্যেকটাতে চরমভাবে লুণ্ঠন চলছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটা বর্গীর মতো অবস্থা। বর্গীরা যখন আসে সব সম্পদ লুণ্ঠন করে নিয়ে যায়, এই সরকারও সেরকম একটা অবস্থা তৈরি করেছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমানে আমরা একটি ভয়ঙ্কর দুঃসময় অতিক্রম করছি। এত বড় দুঃসময় এদেশে কখনো এসেছে কিনা আমার জানা নাই। এখানে আমরা যারা আছি তারা অনেকেই ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধের সাথে ছিলাম, আমরা যুদ্ধ করেছি। তখনো এত দুঃসময় ছিল না। তখন আমরা চিনতাম আমাদের শত্রু কে। কাদের সাথে লড়াই করে আমাদের জয়লাভ করতে হবে। তখন আমরা সবাই এক হয়ে গিয়েছিলাম।
তিনি বলেন, আজকে যাদের যুদ্ধে যাওয়ার সময়, সংগ্রাম করার সময়, যারা এই দুঃসময়কে দূর করবে, যারা এই অন্ধকারকে দূর করে আলো নিয়ে আসবে তারা কোথায়? সেই যুবক কোথায়? সেই তরুণ কোথায়? তাদেরতো সমানে আসতে হবে। তাদেরকে রুখে দাঁড়াতে হবে। প্রতিটি সংগ্রামে অবশ্যই তাদের নেতৃত্ব দিতে হবে। আমি অনেক দিন যাবত জোর দিয়ে বলছি এটা ছাড়া কোনো উপায় নাই।
তিনি বলেন, দেশে কেউ নিরাপদ নয়। প্রতিদিন খবরের কাগজ খুললেই দেখবেন হত্যা, খুন, যখম, ধর্ষণ, ছিনতাই, দুর্নীতির খবর বের হচ্ছে। এখন নতুন করে বের হচ্ছে ই-কমার্সের লুণ্ঠন। ই-কমার্সে যারা লুণ্ঠন করছে তারা কারা? কাদের আশ্রয়ে তারা লুণ্ঠন করছে? কারা তাদেরকে প্রটেকশনটা দিচ্ছে? দেখবেন এই আওয়ামী লীগের লোকেরাই এর সাথে জড়িত।
আফসার আহমদ সিদ্দিকী’র কথা স্মরণ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতির প্রেক্ষাপটে নিঃসন্দেহে একজন ব্যতিক্রমী রাজনীতিবিদ ছিলেন আফসার উদ্দিন আহমেদ। সম্ভবত তাদের ওই সময়টাই ছিল, যারা রাজনীতি করতেন তারা সমাজ পরিবর্তনের চিন্তা করতেন। এদেশের কৃষক-শ্রমিক-মজুর সেই মানুষগুলো যারা সব সময় নিচের দিকে থাকেন তাদের ভাগ্যের পরিবর্তনের চিন্তা করতেন। কিভাবে তাদের খাওয়া-পরা ও তাদের সন্তানদের লেখাপড়া, স্বাস্থ্য উন্নত করা যায় সেই চিন্তা করতেন। মরহুম আফসার আহমেদ সিদ্দিকী সাহেব সেই সময়কার, সেই ঘরানার একজন রাজনীতিবিদ। আজকাল যেটা সহজে দেখা যায় না। আজকাল রাজনৈতিক চিন্তা ভাবনাটাই বদলে গেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এখন রাজনীতি হচ্ছে পদ চাই, পদবী চাই আর বাড়ি-গাড়ি চাই। টাকা-পয়সা কিভাবে অর্জন করব সেগুলো দরকার। এ দিয়ে কোনো পরিবর্তন হয় না। পরিবর্তন আনতে হলে আফসার আহমেদ সিদ্দিকির মতো ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। যারা মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য নিজে ত্যাগ স্বীকার করেছেন। এ সময় তিনি বলেন, যারা ভোগ-বিলাশ করে তারা পরিবর্তন আনতে পারে না। ইতিহাস বলে যারা বিলিয়ে দিতে জানে তাদের হাত ধরেই সমাজের পরিবর্তন আসে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com