দুর্গাপূজার চতুর্থ দিন মহানবমীতে ঢোল-বাদ্য, উলুধ্বনি এবং শঙ্খের আওয়াজে মুখরিত পুরান ঢাকার মন্দির ও ম-পগুলো। পূজার্চনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার ১৪ অক্টোবর সকালে মহানবমী ও বিহিত পূজার মাধ্যমে শুরু হয় মহানবমী। এসময় মন্দিরে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায় পুরোহিতদের। ভক্তরাও তৃপ্ত মনে পূজা দেন। পূজাম-পে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হতে দেখা গেছে। এখানে আসা অনেকের মুখে ছিল না মাস্ক। পুরান ঢাকার শাঁখারিবাজার, তাঁতিবাজার, লক্ষ্মীবাজার, বাংলাবাজার, প্যারীদাস রোড এলাকার অলিগলির ছোট-বড় বিভিন্ন পূজাম-পে এ চিত্র দেখা যায়। তবে আজ শুক্রবার দশমীর দিন বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দুর্গাপূজা। এদিন করা হবে প্রতিমা বিসর্জন। অশ্রুসিক্ত চোখে ভক্তরা বিদায় দেবেন দেবী দুর্গাকে। শাঁখারিবাজার নবকল্লোল ম-পের সামনে ভক্তদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মহানবমীর দিনে দেবী দুর্গাকে প্রাণভরে দেখে নেওয়ার সময়। আজ শুক্রবার বিজয়া ও বিসর্জনের পর্ব চলবে।
পুরান ঢাকার স্থানীয় বিভিন্ন পূজা উদযাপন সংগঠন থেকে জানা যায়, এবার পুরান ঢাকায় নব কল্লোল, তাঁতিবাজার পূজা কমিটি, শ্রীশ্রী শিবমন্দির, উদীয়মান সূর্য সংঘ, পানিটোলা পঞ্চায়েত, প্রতিদ্বন্দ্বী, সংঘমিত্র, শ্রীশ্রী রাধা মাধব জিউ দেব মন্দির, নবদুর্গা, নববাগী, দুর্গাবাড়ী, নতুন কুঁড়ি, বুড়ি বাঙালি, রমগান্ত গলি, সূর্য তারা, রামকৃষ্ণ মিশন ও গোয়ালনগর পঞ্চায়েত কমিটিসহ আরও বেশকিছু সংগঠনের মাধ্যমে পূজা উদযাপন হচ্ছে। সার্বিক বিষয়ে ঢাকা মহানগর দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির সদস্য রজত কুমার সেন বলেন, আমাদের এবার পুরান ঢাকার শাঁখারিবাজারে মন্দিরগুলোর পাশাপাশি ৯টি ম-পে পূজা উদযাপন হচ্ছে। এছাড়া বাংলাবাজার, লক্ষ্মীবাজার, কলতাবাজারের অলিগলিতে শান্তিপূর্ণভাবে চলছে পূজা উদযাপন। করোনার কারণে মন্দির ও ম-পগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মন্দির ও ম-প এলাকায় নজর রাখছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
কোতোয়ালি থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের টিম পূজাম-প তদারকি করছে। সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের।