আমারা সামান্য অসুস্থ হলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হই। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করি কিন্তু সামান্য অসুস্থ হলে এ সব ওষুধ না খেয়েও আমরা রোগমুক্ত হতে পারি। ভাবছেন কিভাবে? হ্যা সম্ভব কারণ আমাদের আশে পাশেই রয়েছে এমন অনেক ওষুধি গাছ যা থেকে আমরা বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের ওষুধ পেতে পারি। গাছ গুলো আপনার কাছে যতটা সাধারণ মনে হলেও এদের রয়েছে অসাধারণ ওষুধি গুন। সবাইকে তা জানতে হবে। আর আপনি জানতে পরলেই যে কোন রোগের চিকিৎসা আপনি নিজেই করতে পারবেন। এমনটি বলছিলেন অর্ধশত বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ৮৫ বছরের সর্বজন পরিচিত শ্রদ্ধাভাজন কবিরাজ হারাধন মন্ডল ওরফে গোবর্ধন। হারাধন মন্ডল বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার বড়বাড়িয়া ইউনিয়নের দলুয়াগুনী গ্রামের স্বর্গীয় যদুনাথ মন্ডলের ছেলে। ঠাকুর দাদা, বাবা-মা’ পরলোগ গমনের পর তাদের পেশার উত্তারাধিকারি সূত্রে তিনি ওষুধি গাছ দিয়ে দুরারোগ্যরোগ নিরাময় করে থাকেন বলে জানিয়েছে। বিশেষ করে তিনি লিভার,নারী-পুরুষের ক্ষয়রোগ, জন্ডিস,হাঁপানী,কাশি, গ্যাস্ট্রিক, পেটে প্রলেপ দিয়ে বড়পেট ছোট করাসহ বিভিন্ন ধরনের কঠিন রোগের চিকিৎসা করেন বলে জানান। কোন রোগির কাছ থেকে তিনি নির্ধারিত কোন টাকা গ্রহন করেন না বলে জানান। রোগীর ইচ্ছামত যা দেন তিনি তা গ্রহন করে চিকিৎসা দেন। তার চিকিৎসায় অধিকাংশ রোগী আরোগ্যলাভ করেন বলে চিকিৎসা নিতে আসা অনেকে অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন। কবিরাজ হারাধন মন্ডল জানান ১৯৭১সাল থেকে পুর্ব পুরুষের পেশা নিনি ধরে রেখেছেন। সংসারে অনেক অভাব ছিলো এখন ঠাকুর তাকে ভালো রেখেছেন। তিনি দুর্গপুজা করেন,ঠাকুর পুঁজা করেন,গুরু পূঁজা করেন। রাতে সকল দেবদেবতার আরাধনা করেন। বছরে তিনটি মহোৎসব হয় তার বাড়ীতে, প্রতি শুক্রবার তার মন্দিরে ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়। নিরামিষভোজি এই কবিরাজ সকালে রুটিখান, দুপুর এবং রাতে ভাতখান। তার পছন্দের ফুলটি হচ্ছে জবা ; কারন হিসেবে তিনি জানান, জবা ফুল মায়ের সাধনার জন্য অতি উত্তম। তিনি ছোট কালে রামযাত্রা দলের রামের চরিত্রে অভিনয় করতে। স্বর্গীয়: যদুনাথ মন্ডলের ছেলে কবিরাজ হারাধন ওরফে গোবর্ধন মন্ডলের গুরুদেব শতবর্ষ বয়াসী রশিকলাল গোস্বামীর নামে তার বাড়ির প্রধান ফটকে লেখা রয়েছে। শ্রীশ্রী গুরুদেব রশিকলাল গোস্বমী পরিচালিত জনকল্যান বিশ্বশুক সেবাশ্রম সংঘ। সেবায়েত হারাধন ধন মন্ডল (গোবর্ধন), চিতলমারী বাগেরহাট। জানাযায়, ভারত,ঢাকা, গোপালগঞ্জ, খুলনাসহ দেশের ভিভিন্ন এলাকার দুরারোগ্যরোগিরা আরোগ্যলাভের আসায় তার জনকল্যান বিশ্বশুক সেবাশ্রমে ছুটছেন প্রতিদিন। কবিরাজ গোবর্ধন বলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনায় হিন্দুমুসলিম ভাইভাই হিসেবে আমরা এখানে মিলেমিশে বসবাস করছি।