শিশুদের মৌলিক চাহিদা পুরণের জন্যে খানার স্থায়ী আয়ের উৎসে সহযোগিতা, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, শিশু সুরক্ষা এবং অংশগ্রহণ কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজের অবস্থা উন্নতির লক্ষ্যে জামালপুরে শুর¤œ হয়েছে এরিয়া প্রোগ্রাম (এপি) নামে ১০ বছর মেয়াদী কর্মসূচি। রবিবার কর্মসূচির সফল বাস্ত্মবায়নের লক্ষ্যে জামালপুরের বৃহত্তর বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন সংঘ এবং দাতা সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের মাঝে এপি নিয়ে সম্পাদিত চুক্তিপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে হস্ত্মান্ত্মর করা হয়। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত চুক্তিপত্র হস্ত্মাস্ত্মর ও অংশিদারিত্ব বিষয়ক অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোকলেছুর রহমান। সভায় সভাপতিত্ব করেন উন্নয়ন সংঘের নির্বাহী পরিচালক মোঃ রফিকুল আলম মোলস্না। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম।ওয়ার্ল্ড ভিশন ও উন্নয়ন সংঘ যৌথভাবে আয়োজিত ও জেলা প্রশাসনের সহায়তায় অনুষ্ঠিত অবহিতকরণ সভায় অন্যান্যের মাঝে আলোচনায় অংশ নেন সিভিল সার্জন চিকিৎসক প্রনয় কান্ত্মি দাস, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটুস লরেন্স চিরান, জেলা পরিবার পরিকল্পনার উপপরিচালক চিকিৎসক সাজদা ই জান্নাত, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক রাজু আহমেদ, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরা মুস্ত্মারী ইভা, পুলিশ পরিদর্শক তারিকুল ইসলাম, দৈনিক কালের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোকলেছুর রহমান। কণ্ঠ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মোস্ত্মফা মনজু, জামালপুর পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামর¤œল হাসান মিল্টন, ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ শাহীনুর রহমান, গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সভাপতি মোঃ মিয়ার উদ্দিন, ব্র্যাক জেলা প্রতিনিধি মনির হোসেন খান, উন্নয়ন সংঘের সহকারী পরিচালক কর্মসূচি মুর্শেদ ইকবাল প্রমুখ। কর্মসূচির ধারণা পত্র উপস্থাপনা করেন ওয়ান্ড ভিশনের এপি ম্যানেজার সাগর ডি কস্ত্মা ও উন্নয়ন সংঘের এপি ম্যানেজার মিনারা পারভীন।সভাসূত্র জানায় এরিয়া প্রোগ্রামটি জামালপুর সদর উপজেলার লক্ষীরচর , শরিফপুর ইউনিয়ন এবং জামালপুর পৌরসভার ১, ১০, ১১, ও ১২ নং ওয়ার্ডে বাস্ত্মবায়ন শুর¤œ হয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় ৩৯টি গ্রামে ১৯ হাজার ৪৮৬ জন উপকারভোগী নির্বাচন করা হয়েছে। কর্মসূচির সকল কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করতে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ নিয়ে গ্রাম উন্নয়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কার্যক্রমের মধ্যে জীবীকায়ন, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, ওয়াস এবং স্পন্সরশীপ অন্যতম। এরমধ্যে আবার খানা জরিপ, দাতা উন্নয়ন, পরিবেশ সম্মত গ্রাম প্রতিষ্ঠা, জিঙ্ক ধান উৎপাদন, অতিদারিদ্রের উন্নয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, দল গঠন, সমঝোতার বিকাশ ঘটানো, প্রসবপূর্ব ও প্রসব পরবর্তী সেবা, শিশু অধিকার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, বিপদাপন্ন শিশুর তালিকা তৈরিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।