জীবাশ্ম জ্বালানী খাতে বিনিয়োগ বন্ধ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবিতে বরিশালে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদী তীরে ৮ নভেম্বর সোমবার সকাল ১০টায় ওই কর্মসূচী হয়। প্রান্তজন, উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোট (ক্লিন) ও এশিয়ান পিপলস্ মুভমেন্ট অন ডেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এপিএমডিডি) -এর যৌথ উদ্যোগে কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। ক্লিন-এর প্রধান নির্বাহী হাসান মেহেদী বলেন, বাতাসে কার্বন নির্গমনের ৭২ শতাংশই আসে জ্বালানি খাত থেকে। তাই কার্বন নির্গমন কমানোর জন্য কয়লা, গ্যাস ও জ্বালানি তেলখাতে উন্নত দেশগুলোর বিনিয়োগ বন্ধ করতে হবে। ইতোমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ ৪০টি দেশ জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্ত জার্মানি, জাপান, চীন, অস্ট্রিয়া, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, বেলজিয়ামের মতো বড় বিনিয়োগকারী দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ করার কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি। এসব দেশের অবিলম্বে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ করতে হবে। এপিএমডিডি’র সমন্বয়কারী লিডি ন্যাকপিল বলেন, ২০টি দেশ ও কয়েকটি ব্যাংক ২০২২ সাল নাগাদ জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্ত তারা ২০৩০ সালের মধ্যে যদি জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ না করে তাহলে পৃথিবীর উষ্ণায়নের হার ১.৫ ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। তাই অবিলম্বে কয়লাসহ জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ করা, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জলবায়ু-বিপদাপন্নদের জন্য পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশকে সহায়তা করা, ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন শূন্যে নামিয়ে আনার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। কর্মসূচী আরও বক্তব্য দেন জলবায়ু প্রভাবের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ননী গোপাল দাস, নূরে আলম মাঝি, মো. আবুল কালাম, মো. মোস্তফা প্রমুখ।