গ্লাসগোর বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে আমাদের উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের কান্না পৌছানোর খবর এখনও পেলাম না। জলবায়ু বিপর্যয়ের কবল থেকে সুন্দরবন ও উপকূল রক্ষা করতে হবে। সরকার বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে পরিবেশ বিরোধী কর্মকান্ডের সমালোচনা করলেও দেশে উন্নয়নের নামে জলবায়ু সংকট সৃষ্টি করছে। ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাস-লবণক্ততা-নদী ভাঙ্গনের ফলে সুন্দরবন ও উপকূলীয় অঞ্চলসহ মানুষের জীবন-জীবিকাকে লন্ডভন্ড করে দিচ্ছে। কয়লা থেকে সরে এসে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তির ব্যবহার করে সুন্দরবনসহ প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষা করে জলবায়ু পরিবর্তন’র ক্ষতি রুখতে হবে। ১০ নভেম্বর বুধবার সকালে মোংলার দিগরাজ বাজারে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), পশুর রিভার ওয়াটারকিপার, বাদাবন সংঘ ও শুদ্ধপ্রাণ আয়োজিত জলবায়ু গণসমাবেশে বক্তারা একথা বলেন। বুধবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাপা বাগেরহাটের আহ্বায়ক পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মো. নূর আলম শেখ। গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন বাপা’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাবেক ছাত্রনেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স। জলবায়ু গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাপা’র কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন পরিবেশ বান্ধব উন্নয়ন ছাড়া কোন উন্নয়নই টেকসই হয় না। অথচ আমাদের উন্নয়ন হচ্ছে পরিবেশ ধ্বংস করে। এই ধ্বংসের উন্নয়ন আমরা চাইনা। তিনি বেশ কিছু কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধের সিদ্ধান্তে স্বস্তি প্রকাশ করে সুন্দরবন বাঁচাতে রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধের দাবী জানান। জলবায়ু গণসমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বাপা নেতা অধ্যাপক অসিত সরকার, সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির নেতা ফররুখ হাসান জুয়েল, শুদ্ধপ্রাণ’র সভাপতি দীপক চন্দ্র রায়, বাদাবন সংঘ’র নির্বাহি পরিচালক লিপি রহমান, সোমা ইসলাম, বাপা নেতা নাজমুল হক, কমলা সরকার, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার আব্দুর রশিদ হাওলাদার, মাহারুফ বিল্লাহ, শেখ রাসেল, হাছিব সরদার, বাদাবন সংঘ’র রাকেশ সানা প্রমূখ।