বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত মাইলস্টোন কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বনফুল আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজে মনমাতানো ক্লাস পার্টি অনুষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের সরকারের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান অধ্যাপক ইউনূসের রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির দেশমাতৃকার বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী চক্রান্ত থেমে নেই: তারেক রহমান তুর্কি রাষ্ট্রদূতের সাথে জামায়াতের সৌজন্য সাক্ষাৎ চিন্ময় সমর্থক জঙ্গীদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নিহত অভ্যন্তরীণ বিষয় হস্তক্ষেপ: চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের উদ্যোগ শাপলা চত্বরে গণহত্যায় হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

প্রতীকেই সর্বনাশ, উৎসবে সহিংসতা

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বুধবার, ১০ নভেম্বর, ২০২১

একটা সময় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন মানেই ছিল উৎসবের আমেজ। সরকারের প্রশাসনিক কাঠামোর সর্বনি¤œ এই স্তরটি ছিল রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষপাতের বাইরে। এখানে এক প্রার্থী অন্য প্রার্থীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করতেন, একই সঙ্গে প্রচারে অংশ নিতেন। পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে যেত গ্রামের পর গ্রাম। রীতিমতো হই চই পড়ে নির্বাচনী এলাকায়। নির্বাচনের পর আবার যে যার মতো, বিজয়ী প্রার্থীকে সহযোগিতা, সম্মান করতেন। কিন্তু এখন সেসব কথা অতীত। ২০১৬ সালের ২২ মার্চ দেশে দলীয় প্রতীকে ইউপি নির্বাচন শুরু হয়। এরপর নষ্ট হয় আগের সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ। শুরু হয় সংঘাত-সংঘর্ষ-সহিংসতা। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ব্যবস্থা হয়ে ওঠে রক্তাক্ত। বর্তমানে নির্বাচন চলাকালে প্রায় প্রতিদিনই মারামারি, সংঘর্ষ, ভাঙচুর, গ্রেপ্তার চলছেই। বেড়েছে নিজ দলের মধ্যে আন্তঃকোন্দল ও রেষারেষি। ধারাবাহিকভাবে সহিংসতা বাড়তে থাকায় দলীয় প্রতীকে ইউপি নির্বাচন থেকে সরে আসার কথা ভাবছে খোদ ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাকর্মী। একই সুরে কথা বলছেন বিএনপিসহ অন্য দলের নেতাকর্মীরাও।
চলমান ইউপি নির্বাচনে সহিংসতা থামাতে মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। এরপরও প্রাণহানি থামেনি, বরং একের পর এক সহিংসতায় মৃত্যুর মিছিল বড় হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার ইসির ওই বৈঠকের পর আরও ৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এখন পর্যন্ত ইউপি ভোটে ৩০ জনের প্রাণহানি ও চার শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। হতাহতদের বেশির ভাগই তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। সর্বশেষ সোমবার মেহেরপুরের গাংনীতে নির্বাচনী সহিংসতায় দুই ভাই নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি ১২ জনকে আটক করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এ ঘটনায় উদ্বিগ্ন ও বিব্রত স্বয়ং প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। তিনি বলেছেন, প্রাণহানি খুবই দুঃখজনক। প্রতিটি ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ইউপি ভোট বাতিল ও নির্বাচন বন্ধ করে দেয়া হবে। এদিকে সহিসংতা বাড়তে থাকায় স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতীক প্রশ্নে দলের শীর্ষ নেতাদের আবারও মতামত নিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ২৫ অক্টোবর আওয়ামী লীগ স্থানীয় সরকার নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ডের সভায় ইউপি নির্বাচনে প্রতীক নিয়ে নতুন করে মতামত গ্রহণ করা হয়। সভায় বেশির ভাগ সদস্য ইউপি নির্বাচনে প্রতীক না রাখার ব্যাপারে পরামর্শ দেন।
গত ২৫ অক্টোবরের মনোনয়ন বোর্ড সভায় দলের সভাপতিম-লী ও মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম তার নির্বাচনী আসন গোপালগঞ্জ ২-এ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উন্মুক্ত রাখার প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, একজনকে মনোনয়ন দিলে অন্যজন কষ্ট পান। এতে সংসদ সদস্য হিসেবে আমার বিব্রত হতে হয়। উন্মুক্ত রাখা হলে এই বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে না।
অন্যদিকে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ইতোমধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে আওয়ামী লীগ। প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও নৌকার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতারাও। এর বিরুদ্ধে কেন্দ্র থেকে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও বিদ্রোহী দমনে ব্যর্থ হচ্ছ দলটি। এই ইস্যুটি মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যরা দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার সামনে উপস্থাপন করেন। কয়েকজন সদস্য ইউনিয়ন পরিষদে অন্তত প্রতীক না রাখতে পরামর্শ দেন। প্রধানমন্ত্রী জানতে চান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক রাখা না রাখার সুফল ও কুফল। ২৫ অক্টোবরের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় উপস্থিত সদস্যরা সুফল ও কুফল তুলে ধরেন। আওয়ামী লীগ সূত্রগুলো বলছে, বেশির ভাগ সদস্য বক্তব্যে নেতাদের অসুবিধার মুখোমুখি হতে হচ্ছেÍ এমনটা তুলে ধরেন।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা বলেন, তৃণমূলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। দেশে প্রায় ৬ হাজার ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। এই ভোট প্রতীক বাদ দিয়ে করলে বিদ্রোহী প্রার্থীমুক্ত থাকতে পারবে আওয়ামী লীগ। কোন চেয়ারম্যান প্রার্থী যোগ্য-অযোগ্য, সেটি স্থানীয় জনগণই নির্বাচন করবে। এতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও সংসদ সদস্যরা নির্ভার থাকতে পারবেন। এখন জেলা-উপজেলা ও সংসদ সদস্যদের প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্রে করে যে বেগ পেতে হয়, সেটি আর থাকবে না। সভায় উপস্থিত থাকা নেতারা জানান, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হয়তো আগের মতো প্রতীক ছাড়া করার সিদ্ধান্তে আসতে পারে আওয়ামী লীগ। এছাড়া স্থানীয় সরকারের অন্য নির্বাচনগুলো যেমন পৌরসভা মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান ও সিটি করপোরেশন মেয়র প্রতীক রেখেই হতে পারে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সভাপতিম-লীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ গণমাধ্যমকে বলেন, মনোনয়ন বোর্ডের সর্বশেষ সভায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক রাখা হবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে কোননো সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি বলেন, দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা সবার মতামত নিয়েছেন।
দলের আরেক সভাপতিম-লীর সদস্য ফারুক খান বলেন, শুধু ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক নিয়ে আমরা কিছু আলোচনা করেছি মনোনয়ন বোর্ডের সভায়। তবে আমি মনে করি, ইউনিয়ন পরিষদে প্রতীকের ভোটে আমরা ভালো করছি। তিনি বলেন, প্রতীকে নির্বাচন নতুন হওয়ায় কিছু সমস্যা হচ্ছে। তবে পদ্ধতিটা স্থায়ী হয়ে গেলে সমস্যাগুলোও কেটে যাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, বিএনপি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের বিরোধী ছিল। এখনো সেটি আমরা সমর্থন করি না। কারণ এর মধ্যে দিয়ে জনগণকে বিভাজন করা হয়েছে। এই বিভাজনের কারণে সন্ত্রাস হচ্ছে।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, মানুষ যাদের পছন্দ করত, আগে তাদের ভোট দিত। কিন্তু এখন আওয়ামী লীগ টাকার বিনিময়ে মনোনয়ন দিয়েছে। ফলে সমাজের জনপ্রিয় ব্যক্তিরা নির্বাচনে যাচ্ছেন না। এখন সন্ত্রাসীরা ভোট করছেন। ফলে সন্ত্রাস হচ্ছে। বিএনপি কখনো রাষ্ট্র ক্ষমতার যাওয়ার সুযোগ পেলে এই ব্যবস্থা উঠিয়ে দেবে বলেও জানান দলটির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, কী মন্তব্য এবং কী বলব? তারা নিজেরাই নিজেদের মধ্যে মারামারি করছেন। এই কারণে এসব সন্ত্রাসী কর্মকা- হচ্ছে।
ইসি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্বাচনে অন্য দলের কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকলেও ভোটের মাঠে কার্যত ক্ষমতাসীনরাই। ভোটে আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগই। ক্ষমতাসীন দলের নিজেদের মধ্যকার সংঘাত-সহিংসতা নিয়ন্ত্রণ করা নিয়ে বেকায়দায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও। স্থানীয়ভাবে দু’পক্ষই শক্তিশালী হওয়ায় কিছু জায়গায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। আবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উভয়পক্ষের সাথে সখ্যতা থাকার কারণেও সহিংসতা রোধের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।
দ্বিতীয় ধাপের ৮৪৬টি ইউনিয়নে আগামী ১১ নভেম্বর এবং তৃতীয় ধাপের ১ হাজার ১টি ইউনিয়নে ২৮ নভেম্বর নির্বাচন। নির্বাচন সামনে রেখে জেলায় জেলায় অস্ত্রের ঝনঝনানিও বেড়ে চলেছে। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো স্থানে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে প্রাণহানি ঘটছে। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে সহিংসতা, ততই বাড়ছে। ভোটের পরিবেশ বিঘিœত হচ্ছে মারাত্মকভাবে। প্রভাব-জবরদস্তির কারণে দুই শতাধিক ইউপিতে ভোট ছাড়াই নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীতরা। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকে মাঠে নেই বিএনপি। দল মনোনীত একক প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। মনোনয়ন না পেয়ে অধিকাংশ স্থানেই আওয়ামী লীগের নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনী মাঠ দখলে জড়াচ্ছেন সংঘাত-সহিংসতায়। প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচনে ৬ জনের প্রাণহানি হয়। এরপর চলমান দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের এখন পর্যন্ত ২৪ জনের প্রাণহানি ঘটে।
এই সহিংসতার কারণ জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. শাহদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক ও সামাজিক অবক্ষয় থেকে এসব ঘটনার জন্ম দিচ্ছে। তবে এই সহিংসতার জন্য প্রার্থী এবং রাজনৈতিক দলের কর্মীদের অসহনশীল মানসিকতায় অনেকাংশেই দায়ী। নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের কর্মী এবং প্রার্থীর সমর্থকদের সহনশীল হতে হবে। রাজনৈতিক দলের কর্মীরা সংযত হলে সহিংসতা কমে আসবে। সহিংসতা কমানোর ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের বড় ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
ইউপি ভোটের সহিংসতা নিয়ন্ত্রণ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্বিগ্ন নির্বাচন কমিশন গত বৃহস্পতিবার সারাদেশের মাঠপর্যায়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করে। ওই বৈঠক থেকে আলোচনা সভায় ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি ও খুলনার বিভাগীয় কমিশনার তার বক্তব্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগে সহিংসতার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। সেই আশঙ্কায় সত্য হলো। সভা চলাকালীন নরসিংদীতে ৪ জনের প্রাণহানি ও ৩০ জন আহত হন। গত বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে সদর উপজেলার চরাঞ্চলের আলোকবালী ইউনিয়নের নেকজানপুর গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
২০১৬ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইন প্রণয়নের মধ্য দিয়ে স্থানীয় নির্বাচনে প্রতীক ব্যবহার করে আসছে রাজনৈতিক দলগুলো। তবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতীক ব্যবহার নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ভেতরেই অস্বস্তি রয়েছে। এই নিয়ে স্থানীয় নেতাদের বিপাকেও পড়তে হচ্ছে। প্রতীক একজনকে দিলে আর একজন বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। এতে দলীয় শৃঙ্খলা যেমন নষ্ট হয়ে পড়ছে, তেমনি তৃণমূল রাজনীতিতে বিভেদ-বিভাজনও সৃষ্টি হচ্ছে। দলীয় সংসদ সদস্য, জেলা-উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে বিপাকে পড়তে হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই নিয়ে। হাজার হাজার নেতাকর্মীর মধ্য থেকে যোগ্য প্রার্থী বাছাই করা তাদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।-বাংলাদেশ জার্নাল




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com