বাগেরহাটের রনজিৎপুরে অবস্থিত চন্দ্র মহল ইকোপার্কে র্যাব-৬ এর অভিযানে গোপনে রাখা বিপুল পরিমানে বন্যপ্রাণীর চামড়া ও বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী জদ্ব করা হয়েছে। পরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চন্দ্র মহলে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে কর্তৃপক্ষকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করে তা আদায় করা হয়। সোমবার সকালে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। জানা গেছে, গোপন সংবাদের উপর ভিত্তি করে র্যাব-৬ ও বন্যপ্রাণী ব্যাবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনা এর যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় অবৈধ ভাবে মজুদ করে রাখা হরিণের চামড়া ০৬টি, ভাল্লুকের চামড়া ০১টি, কুমির ০১টি, ক্যাঙ্গারুর চামড়া ০১টি, তিমির কংকাল ০১টি, অষ্টেলিয়ান ঘু ঘু ০৫টি,হরিণের শিং ০৬টি,উট পাখি ০৬টি,ময়ুর ০১টি, মাছমুড়াল পাখি ০২টি, বক ০৭টি,বানর ০৫টি ও কচ্ছপ ০২টি জদ্ব করেন।র্যাব-৬ এর সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তারা গোপন সংবাদের উপর ভিত্তি করে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় উপরোক্ত চামড়া ও বন্যপ্রাণীর কোন বৈধ কাগজপত্র না থাকার কারণে বন্যপ্রাণী সংরক্ষন আইন ২০১২ এর ৩৭(২) ৪০. ৩৪(খ). ২৪ এর অপরাধে তাদেরকে ৫০হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ বছরের কারাদন্ড প্রদান করা হয়।কিন্তু নগত ৫০হাজার টাকা প্রদান করায় পার্কের ম্যানেজার মোঃ মহব্বর আলী চাকলাদার-কে ছেড়ে দেওয়া হয়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নুর-ই-আলম সিদ্দিকী। সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৬ এর এসপি মোঃ মাফুজুর রহমান বলেন, পার্ক কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ অবৈধ উপায়ে উপরোক্ত প্রাণী ও চামড়া মজুদ করেছেন, যার কোন বৈধ কাগজপত্র তারা দেখাতে পারেন নী। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বন্যপ্রাণী ব্যাবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনা এর পরিচালক রাজু আহম্মেদ ও কর্মকর্তা তন্ময় আচার্য সহ র্যাব-৬ এর উর্দ্ধতন কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ।