বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের ৩৮৭তম সভা অনুষ্ঠিত অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে দ্রুত জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে -আমান শ্রীমঙ্গলে নারী চা শ্রমিক-কর্মজীবী নারীর প্রতি সহিংসতা ও বৈষম্য নিয়ে সংলাপ কালীগঞ্জে সরকারি মাহতাব উদ্দিন কলেজে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম : আতঙ্কে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বগুড়ার শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত-নিহতদের স্মরণসভা দেশবিরোধী চক্রান্তকারীদের দাঁত ভাঙা জবাব দেওয়া হবে-রেজাউল করিম বাদশা দুর্গাপুরে আইনজীবীদের মানববন্ধন কয়রায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণ সভা ও সাংস্কৃতিক ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মুন্সীগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধের প্রতিবাদে জলঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ দুর্গাপুরে শেষ হলো দুইদিন ব্যাপি কৃষিবিষয়ক প্রশিক্ষণ

বিজয়নগরে প্রতিবন্ধী নাদিরা ও বসির পেল স্বপ্নের হুইল চেয়ার

শফিকুর রহমান শাহীন বিজয়নগর (ব্রাহ্মলবাড়িয়া)
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার হতভাগ্য প্রতিবন্ধী নাদিরা ও বসির পেল স্বপ্নের হুইল চেয়ার। দুর্দশা গ্রস্থ অসহায়দের নিয়ে খবরপত্র পত্রিকায় খবর প্রকাশের পর উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসে। বৃহস্পতিবার ২৫ নভেম্বর বিকেল ৩ টায় বিচক্ষণ উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা এ এইছ ইরফান উদ্দিন আহমেদ, প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে এসব প্রতিবন্ধীদের জন্য হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করে নিজে বাড়িতে এসে তাদের অভিভাবকের হাতে তা তুলে দেন, এ সময় উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বিচক্ষণ উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা এ এইছ ইরফান উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রতি আমাদের আন্তরিকতার কোন অভাব নেই, প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয়, এদের ঠিকমত পরিচর্যা করতে পারলে এরা ও সমাজকে অনেক কিছু দিতে পারে,এদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে সরকার, বর্তমান সরকার এ বিষয়ে খুবই আন্তরিক ও তৎপর, তিনি আরো বলেন, প্রতিবন্ধী শিশুদের পাওে, প্রতিবন্ধীদের যাতে কেউ সমাজের বোঝা হিসেবে ভাবতে না পারে সেজন্য তাদেরকে কোনো একটি বিশেষ কাজে দক্ষ করে তুলতে হবে এবং কর্মমুখী পেশার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে, প্রতিবন্ধী শিশুর মাঝেও অনেক সুপ্ত প্রতিভা থাকতে পারে। তাই খেলাধুলা ও বিনোদনে প্রতিবন্ধী শিশুদের উৎসাহিত করতে হবে, প্রতিবন্ধী শিশুদের মাঝে ছবি আঁকা, গান, ক্রীড়া বা অন্য কেনো বিষয়ে দক্ষতা থাকলে তা যথাযথভাবে প্রয়োগের সুযোগ করে দিতে সরকার সহায়তা করবে। জানাযায় উপজেলার বুধন্তী ইউপির ৮ নং ওয়ার্ডের খাতাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা অতি দরিদ্র মাসুক মিয়া তার ঘর আলো করতে দীর্ঘ ৯ বছর পূর্বে এ পৃথিবীতে আসে নাদিরা ও একই গ্রামের ফিরোজা বেগমের কোলে আসে ১২ বছর পূর্বে বসির মিয়া, জন্মের পর পর তাদের মা বাবা প্রতিবন্ধী ধারণা করলে ও ভেবেছিল বয়স বাড়ার সাথে হয়তো তা ঠিক হয়ে যাবে কিন্তু তা তো ঠিক হবার নয়। তাইতো বসিরের জন্মদাতা পিতা, ছেলে প্রতিবন্ধী বুঝতে পেরে চির দিনের মতো স্ত্রী, সন্তান রেখে এলাকা ছেড়ে পারি জমায় অন্যত্র, প্রতিবন্ধী বসির তার পিতাকে দেখার সৌভাগ্য হয়নি, পিতার আদর সোহাগ তো স্বপ্ন, প্রতিবন্ধী সন্তান জন্ম দেওয়ার কারণে অনেক তার মাকে প্রতিবেশীদের দোষারোপের মধ্যে দুর্বিষহ জীবন যাপন করতে হয়। বসিরের ২ টি পা সম্পূর্ণ অচেতন সাথে ১ টি হাত ও সামান্য, তার পর ও থেমে নেই ২ হাটু ও হাতের উপর ভর দিয়ে চলছে এখান থেকে ওখানে, কৃষ্ণ বদনে দাত গুলো তার চক চকে, সারাক্ষণ তার মুখে লেগেই আছে এক চিলতে মধুর হাসি, বাদ যায়না শুক্রবারে মাথায় টুপিতে াড়ির সন্নিকটে মসজিদের দোয়রে যাওয়ার। নাদিরা ও শারীরিক ভাবে স্বাভাবিক চলাচলে অক্ষম, বসিরের মতো তার পা ২ টি সম্পূর্ণ অচেতন, তাই সারাক্ষণই তার মায়ের কোলে, একজন শিশুকে নিয়ে বাবা, মা কি পরিমাণ কষ্ট করে থাকেন তা কাছ থেকে না দেখলে কারো পক্ষে অনুধাবন করা অত্যন্ত কঠিন। ভুক্তভুগিই বোঝে। তাহারা উভয়েই স্বাভাবিক চলাচলের সক্ষমতা হারিয়েছে। সরেজমিনে দেখাযায়, প্রতিবন্ধীদের বাবা মায়ের আর্থিক দুর্বলতা এতই নাযুক যে পল্লী কবি জসীম উদ্দীনের আসমানীদের মতো, নাদিরার বাবা ফেরিতে আইসক্রিম বিক্রেতা, ও বসিরের মা ফিরোজা মাথায় টুকরিতে সাধারণ কসমেটিক্স বিক্রি করে গ্রামে, পাড়ায় হেটে, ১ শতাংশ জায়গার উপর ১ চালা ঝংধরা টিনের ছাউনি বৃষ্টির দিনে পলিথিনই একমাত্র ভরসা, ঘরের বাকী অবস্থা অনুমেয়, বিষুদ্ধ পানির অভাবে রোগজীবাণু তাদের পিছনে সারাক্ষণ লেগেই থাকে, এমন পরিস্থিতিতে তাদের সাধ্যের বাহিরে হুইল চেয়ার কেনা। প্রতিবন্ধীদের বাবা, মায়ের সাথে কথা বললে তাহারা জানান, প্রতিবন্ধিদের চলাচলের জন্য স্বাভাবিক জীবনের কিছুটা রং তাদের জীবনে মেশানোর জন্য হুইল চেয়ার একটি সুন্দর ব্যবস্থা। হুইল চেয়ার হয়তো তাদের স্বাভাবিক চলাচলের স্বাধীনতা কিছুটা হলেও লাঘব হবে, সরকারি পৃষ্টপোষকাতায় বা বিত্তবানদের সহায়তায় হুইল চেয়ার ব্যবস্থা হলে তা ব্যবহার করে পৃথিবীটাকে আরেকটু মনের চোখ খুলে দেখতে পারবে এ প্রতিবন্ধীরা। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা এ এইছ ইরফান উদ্দিন আহমেদ জানান, প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রতি আমাদের আন্তরিকতার কোন অভাব নেই, প্রতিবন্ধীদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে সরকার, প্রতিবন্ধী শিশুদের ঠিকমত পরিচর্যা করতে পারলে এরা ও সমাজকে অনেক কিছু দিতে পাওে, প্রতিবন্ধীদের যাতে কেউ সমাজের বোঝা হিসেবে ভাবতে না পারে সেজন্য তাদেরকে কোনো একটি বিশেষ কাজে দক্ষ করে তুলতে হবে এবং কর্মমুখী পেশার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে, প্রতিবন্ধী শিশুর মাঝেও অনেক সুপ্ত প্রতিভা থাকতে পারে। তাই খেলাধুলা ও বিনোদনে প্রতিবন্ধী শিশুদের উৎসাহিত করতে হবে, প্রতিবন্ধী শিশুদের মাঝে ছবি আঁকা, গান, ক্রীড়া বা অন্য কেনো বিষয়ে দক্ষতা থাকলে তা যথাযথভাবে প্রয়োগের সুযোগ করে দিতে সরকার সহায়তা করবে, বর্তমান সরকার এ বিষয়ে খুবই আন্তরিক ও তৎপর।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com