রায়গঞ্জে রোপা আমণ ধানকাটা শুরু হয়েছে। এবার রোগ বালাইয়ের প্রকোপ না থাকায় ভাল ফলন হয়েছে। বাজারে দামও ভাল। নতুন ধানে কৃষকের ঘরে ঘরে চলছে পিঠা পায়েশ খাওয়ার ধুম। রায়গঞ্জের ধামাইনগর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের কৃষক নাজমুল ইসলাম জানান-তিনি এবার ২২ বিঘা জমিতে করেছেন রোপা আমন চাষ। ৪ বিঘা জমির ধান ইতোমধ্যেই কেটে ঘরে তুলেছেন। ফলন হয়েছে ভাল, দামও বেশ ভাল। চান্দাইকোনা গ্রামের কৃষক রোকনুজ্জামান সবুজ ও মজুপুর গ্রামের জোতদার রয়টার তালুকদার অনুরূপ তথ্য জানালেন। ধানের দাম নিয়ে কথা হয় চান্দাইকোনা বাজারের ধান-চাল ব্যবসায়ী মোঃ গোলাম মোস্তফার সাথে। তিনি জানান- এবার কাঁচাভেজা কাটারিভোগ ধান কিনছেন ১২৮০-১৩২০ টাকা মণ, কাটারিভোগ শুকানো ধান কিনছেন- ১৩৬০-১৩৭০ টাকা মণ। ব্রিধান-৪৯ কিনছেন ১০৫০-১০৭০ টাকা মণ, ব্রিধান- ৫১ কিনছেন ১০০০-১০২০ টাকা ও স্বর্ণা-৫ ১০৩০-১০৫০ টাকা মণ। যা গত বছরের তুলনায় মণ প্রতি ১৫০-২০০ টাকা বেশি। বাজারে ধানের বেশ টান লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে তিনি জানান। এব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ শহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন -এবার আমণ ধান চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৯ হাজার ১৬৫ হেক্টর। অর্জিত হয়েছে ১৮ হাজার ৭০০ হেক্টর। জলাবদ্ধতার জন্য ৪৬৫ হেক্টর জমিতে ধানরোপন করা যায়নি। চাষ করা ধানের জাতগুলো হচ্ছে, ব্রিধান-৪৯, ব্রিধান- ৫১, ব্রিধান-৫২, ব্রিধান ৭১, ব্রিধান ৭৫, ব্রিধান -৮০, বিধান-৯০, ব্রিধান- ৯৬, রণজিৎ, স্বর্ণা -৫, গুটি স্বর্ণা ও কাটারিভোগ ধান। প্রায় ৩০ শতাংশ জমির ধান ইতোমধ্যেই কাটা হয়েছে। কর্তনকৃত ধানের ফলন হয়েছে হেক্টর প্রতি গড়ে ৪-৫ মেঃ টন। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় আধা টন বেশি।