কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর প্রত্যন্ত এলাকায় দুই যুগ ধরে শিক্ষার আলো ছড়ানো বলদিয়া ডিগ্রি কলেজে আধাপাকা টিনসেড ভবনে চলছে পাঠদান কার্যক্রম। উপজেলার শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা কলেজটিতে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য এখন পর্যন্ত সরকারি অনুদানের পাকা ভবন নির্মিত হয়নি। এতে শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বারবার আবেদন করে পাঠদানের জন্য পাকা ভবন বরাদ্দ পায়নি কলেজটি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভূরুঙ্গামারী উপজেলা সদরের বাইরে স্থাপিত বলদিয়া কলেজের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৭ সালে। কলেজটি প্রতিষ্ঠার দু’বছর পর এমপিও ভুক্ত হয় এবং ২০১৪ সাল থেকে কলেজটিতে স্নাতক পর্যায়ের পাঠদান শুরু হয়। প্রায় দুই যুগ ধরে শিক্ষার আলো ছড়ানো কলেজটিতে পাঠদানের জন্য সরকারি অনুদানের পাকা ভবন নির্মিত না হওয়ায় হতাশ শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সহ স্থানীয়রা। একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী নূরনবী ও আলমগীর জানায়, কলেজে পাঠদান কক্ষের স্বল্পতা ও বিশ্রামাগার সমস্যা রয়েছে। এছাড়া পৃথক শৌচাগার না থাকায় ছাত্রছাত্রীদের সমস্যায় পড়তে হয়। অন্য কলেজগুলোর মতো একটি পাকা ভবন হলে সমস্যাগুলো দুর হবে। স্থানীয় বাসিন্দা আব্বাস আলী
জানান, আধাপাকা টিনসেড ভবনে ক্লাশ করায় ছেলেমেয়েরা শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কলেজে পাকা ভবন হলে ছেলেমেয়েরা পড়াশোনায় আরো মনোযোগী হবে। অধ্যক্ষ কৃষিবিদ লুৎফর রহমান জানান, প্রতিষ্ঠানের অর্থে নির্মিত আধাপাকা একটি টিনসেড ভবনেই শিক্ষার্থীদের দুই যুগ ধরে পাঠদান করা হচ্ছে। পাঠদানের জন্য ভবন চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কয়েকবার আবেদন করা হয়েছে কিন্তু ভবন বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। কুড়িগ্রাম-১ আসনের (নাগেশ্বরী-ভূরুঙ্গামারী) সংসদ সদস্য আসলাম হোসেন সওদাগর বলেন, বলদিয়া কলেজের ভবন সমস্যা সমাধানের জন্য একটি চারতলা ভবন বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বলদিয়া ডিগ্রি কলেজের ভবন সমস্যার দ্রুত সমাধান প্রত্যাশা করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ স্থানীয়রা।