ময়মনসিংহের ভালুকা উথুরা রেঞ্জের আংগারগাড়া আখালিয়া বিটের সংরক্ষিত কর্মকতা রইস উদ্দিনের বিটের আওতায় থামছেনা দখল”গড়ে উঠেছে বেশ কিছু বিলাসবহুল বাড়ি। ইতিমধ্যে দেখা যায়, প্রবাসী আবুল কাশেম নামে এক ব্যক্তি শীতাল বাজার সংলগ্ন বনের জমিতে নির্মাণ করছেন, বাড়ি, বালিয়াগড়া বাজার সংলগ্ন এলামন তালুকদারের ছেলে মিলন মিয়ার নির্মাণ হচ্ছে বহুতল ভবন। আংগারগাড়া আখালিয়া বিটের আওতাধীন বনের জমিতে এভাবেই গড়ে তোলা হচ্ছে বেশ কিছু বাড়ি-ঘর। তাছাড়া আংগারগাড়া আখালিয়া বিটের আওতাধীন বনের শতাধিক একর জমি স্থানীয় ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা দখল নিয়ে কলার বাঘ ও বরই বাগান করে দখলে আছেন। এছাড়াও উথুরা বিটের আওতাধীন প্যারাগন নামে এক কোম্পানী চামিয়াদী মৌজার নতুন (২২২৩ নং দাগে) বনের ০৫.একর মতো জমি প্রায় ২০ বছর যাবত দখল নিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। এছাড়াও বর্তমানে বেশ কিছু বনভূমি দখল নিয়ে স্থাপনা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি ময়মনসিংহ বনবিভাগের ভালুকা উপজেলায় প্রায় কয়েক হাজার একর বনের জমি জবরদখল হয়ে গেছে। দখলের তালিকায় বিভিন্ন শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, এনজিও, বাজারসহ হাজারো ব্যক্তির নামক রয়েছে। যুগ যুগ ধরে এভাবে বনের জমি দখল হওয়ায় একদিকে বনভূমি কমছে, অন্যদিকে দিন দিন উজাড় হচ্ছে বন। ধ্বংস হচ্ছে প্রকৃতি ও পরিবেশ। হারিয়ে যাচ্ছে বন্য প্রাণী ও কীটপতঙ্গ। বন বিভাগের বন কর্মকর্তার সাথে কথা বললে তারা বলেন, একদিনে বনভূমি দখল হয়নি। একটু একটু করে অন্তত ৫০ বছরে এসব জমি জবরদখল হয়েছে। এখন জবরদখল হওয়া জমিগুলো পর্যায়ক্রমে উদ্ধার করে তা বন বিভাগের দখলে নেওয়া হচ্ছে। আংগারগাড়া আখালিয়া বিট কর্মকতার বক্তব্য নেওয়া জন্য। মোবাইলে বারবার ফোন দিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। উথুরা রেঞ্জ কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ জানান,বনের দাবীকৃত হলেও প্যারাগন কোম্পানী দীর্ঘ বছর আগে স্থানীদের কাছ থেকে ক্রয় করে প্যারাগন কোম্পানীর নামে বর্তমান বি.আর এস. রেকর্ডসহ কমপ্লিট রয়েছে। এমনকি বর্তমানে ময়মনসিংহ বনবিভাগে ডিমারকেশন আবেদনও করেছেন। ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন অফিসার এ কে এম রুহুল আমিন নির্দেশ দিয়েছেন মাঠ পর্যায়ে তদন্তপূর্বক রিপোর্ট দেওয়ার জন্য।