লম্বা পাট কাঠির সাথে মুষ্টি মুষ্টি করে লাগিয়ে জ্বালানীর জন্য যে উপকরন তৈরী করা হয়, তাকে বলে মুঠে।আবার এক হাতের তালু ভর্তি গোবর কোন গাছ কিংবা বেড়ার গায়ে ঁেসটে লেপে শুকিয়ে যে জ্বালানী তৈরী করা হয় তাকে ঘুটে। দেশের বিভিন্ন স্থানে এটাকে বিভিন্ন নামে চেনে। বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার চরবানিয়ারী ইউনিয়নের খড়মখালী, খলিশাখালী-গরীবপুর সহ বিভিন্ন গ্রামের এমুঠের প্রচলন ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। কাঠের জ্বালানী সাশ্রয়ের বিকল্প হিসাবে গ্রামের গৃহ বধুরা তাদের হাতালের গবাদি পশুর গোবর দিয়ে মুঠে নামের এই উপকরন তৈরী করে তা জ্বালানী হিসাবে ব্যবহার করছে। এছাড়া তা বিক্রিকরে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন। খড়মখালী গ্রামের গৃহবধু বাসন্তি হীরার সাথে কথা হলে তিনি জানান, গোবর দিয়ে তিনি প্রতিদিন দেড় থেকে দুইশত মুঠে তৈরী করেন। এগুলো শুকানোর পর তিনি ১০০ মুঠে দেড়শত থেকে দুইশত টাকায় বিক্রি করেন। আবার নিজেদের জ্বালানি চাহিদাও মিটান। সংসারের অন্যান্য কাজের পাশাপাশি তিনি মুঠে গুলো তৈরী করেন। একই গ্রামের হাসি রানী হীরা জানান, মুঠে তৈরীতে উপকরন হিসাবে দরকার হয়, গরুবা মহিষের গোবর- পাঠখড়ি অথবা লম্বা কোন কাঠি, ধানের তুষ বা কুড়া। মুঠে তৈরীর আগে পরিমাপ মত পাটকাঠি বা লাঠির সাথে এঁটে রোদে শুকাতে হয়। শুকানোর পর তা জ্বালানী হিসাবে রান্নার কাজে ব্যবহারের উপযোগি হয়। এতে যেমন কাঠের জ্বালানীর মুল্য থেকে সাশ্রয় হয়। অপরদিকে তা বিক্রি করে আর্থিক ভাবে লাভবানও হওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে দুই থেকে চারটি গাবাদি পশুই যথেষ্ট বলে তিনি বলেন।