চিত্রনায়িকা পরীমণিকে মারধর ও যৌন হয়রানির অভিযোগে করা মামলার আসামি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমির জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। অন্যদিকে এ মামলার অভিযোগপত্রের ওপর নারাজি দিয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। নারাজির জবানবন্দিতে তিনি বলেন, আমার জানা মতে মামলাটি ঠিকভাবে তদন্ত হয়নি। মামলার তদন্ত একতরফা হয়েছে। গতকাল ধবার ঢাকার ৯ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে তিনি এ বিষয়ে ‘নারাজি’ আবেদন করেন। আদালত তার এ নারাজি আবেদনের আদেশ পরে দেবেন বলে জানান। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন নাসির-অমি। তবে মামলার অন্য আসামি শহিদুল পলাতক। পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সৌরভী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জানা রিফাত শুনানিতে বলেন, আসামিরা জামিনের পর পরীমণিকে ভয়ভীতি দেখিয়েছে। আমরা নাসির-অমির জামিন বাতিলে আবেদন করছি। এছাড়া মামলার কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী, সিসি ফুটেজ তদন্তে উঠে আসে নাই। তাই আমরা অভিযোগপত্রের ওপর নারাজি দিয়েছি।
এদিকে নাসির-অমির আইনজীবী শুনানিতে বলেন, জামিনের কোনো শর্তভঙ্গ করেননি তারা। তাই তাদের জামিন আবেদন করছি। গত ১৪ জুন চিত্রনায়িকা পরীমণি সাভার থানায় ধর্ষণচেষ্টা, হত্যাচেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে মামলা করার পর দুপুরে ঢাকার উত্তরার একটি বাসা থেকে এজাহারভুক্ত দুই আসামি নাসির ও অমিকে গ্রেফতার করা হয়। সেই সময় ওই বাসা থেকে মদ ও ইয়াবা উদ্ধারের কথা জানায় গোয়েন্দা পুলিশ। ওই বাসা থেকে নাসির ও অমির সাথে তিন নারীকেও গ্রেফতার করা হয়, যাদের ‘যৌন কাজে’ সেখানে রাখা হয়েছিল বলে পুলিশের ভাষ্য। পরে মধ্যরাতে বিমানবন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলাটি করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের এসআই মানিক কুমার শিকদার। এর পর এ মামলায় গত ১৫ জুন আদালত ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমির সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ ছাড়া অপর তিন আসামি লিপি আক্তার, সুমি আক্তার ও নাজমা আমিন স্নিগ্ধাকে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।