রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১১ অপরাহ্ন

পলাশবাড়ীতে গণহত্যার পরিবেশ থিয়েটার “কেচ্ছায় জাগে কাশিয়াবাড়ি” মঞ্চায়ন

নুরুল ইসলাম পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) :
  • আপডেট সময় শনিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২১

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমী গাইবান্ধার ব্যাবস্থাপনায় গণহত্যার পরিবেশ থিয়েটার “কেচ্ছায় জাগে কাশিয়াবাড়ি” মঞ্চায়ন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩ ডিসেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় পলাশবাড়ীর ১নং কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে কাশিয়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজনে ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যাবস্থাপনায়, নাট্যকার মোহাম্মদ আমিনের রচনা ও নির্দেশনায় গাইবান্ধা জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক জনাব আব্দুল মতিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষকলীগ সাধারণ সম্পাদক গাইবান্ধা-৩ আসনের মননীয় সংসদ সদস্য এ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি। এ সময় তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালে, ১৫ই আগস্টে এবং পলাশবাড়ীর এই কাশিয়াবাড়িতে যাদের গণহারে হত্যা করা হয়েছে সে সকল শহীদদের প্রতি জানাই বিন¤্র শ্রদ্ধা। সেই সাথে শ্রদ্ধা জানাই, যার কারণে আমরা সোনার বাংলা পেয়েছি শ্রদ্ধা জানাই সেই বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিজয়ের মাসে শ্রদ্ধা জানাই মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে যিনি প্রায় ১২ বছর ক্ষমতায় থাকার পর বাংলাদেশকে একটি সুউচ্চ মর্যাদা নিয়ে উন্নত বাংলাদেশে রূপান্তরিত করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এবং যার কারণে সোনার বাংলাকে ডিজিটাল সোনার বাংলায় রুপান্তরিত হয়েছে সেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রতœগর্ভা সজীব ওয়াজেদ জয়কে। দীর্ঘ নয়মাস যুদ্ধে সারা বাংলাদেশে যে রক্তক্ষয়ীর পর আমরা যে স্বাধীনতা অর্জন করেছি এবং ১৬ই ডিসেম্বরের মধ্যে দিয়ে আমাদের যে স্বাধীনতা এসেছিলো তা পূনরায় নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। সেই সাথে যুদ্ধাপরাধী কারা, কীভাবে সংগঠিত হয়েছিল, ভূমিকা কি ছিল তা এই প্রজন্মকে জানাতে হবে। বিগত সময়ে কোন সরকার তাদের বিচার করেননি বলেই এখন পর্যন্ত এই যুদ্ধাপরাধীরা এখনে পাকিস্তানের পৃষ্ঠপোষকতা করে। আগামীতে যেনো এই পাকিস্তানের পৃষ্ঠপোষকতাকারীরা আর কোনদিন ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্যে মুক্তিযোদ্ধা পক্ষের শক্তিরা উচিত জবাব দিবে এবং প্রয়োজনে নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করে গণজাগরণ গড়ে তুলতে হবে। এসময় পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি আলহাজ¦ একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ, পলাশবাড়ী পৌর মেয়র উপজেলা আওয়ামীলীগ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জননেতা গোলাম সরোয়ার প্রধান বিপ্লব, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আবু বকর প্রধান, সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ শামিকুল ইসলাম সরকার লিপন, উপজেলা আওয়ামীলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম, উপজেলা কৃষকলীগে সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম পাপুল, উপজেলা শ্রমিকলীগ সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুজ্জামান প্রান্ত ছাড়াও জেলা ও উপজেলার রাজনৈতিক, সংস্কৃতিক ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার হাজারো মানুষ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, স্বাধীনতা পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজিত দেশের ৬৫টি জেলার শিল্পকলা একাডেমীর ব্যাবস্থাপনায় প্রতিটি জেলার গণহত্যার ইতিহাস নিয়ে থিয়েটারের নির্মাণকাজ চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের দ্বারা সংঘটিত গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুরে সবচেয়ে ভয়াবহ এবং বেশি গণহত্যার ঘটনার বর্ণনা করে এই এলাকার মানুষ মুক্তিযোদ্ধার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে উঠতে মুক্তিযুদ্ধের সময় এই নৃশংস, ভয়াবহতম হত্যার দৃশ্য গুলো মঞ্চায়নের মাধ্যমে দেখানো হয়। এতে জেলা ও উপজেলার প্রায় ৯টি নাট্য সংস্থার শিল্পীরা অভিনয় করে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com