কক্সবাজার মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নের প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে উত্তর নলবিলা উচ্চ বিদ্যালয় ও বহুমখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রের জন্য নির্মিত বহুতল ভবন উদ্বোধনের পূর্বে বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরায় ঐ এলাকার লোকজনের মাঝে চলছে অজনা আতঙ্ক। এ ছাড়াও ভবনের ভিতর টাইলস, বেসিং ও টেব খুবই নি¤œমানের! এমনকি স্কুলের নামে ন্যামফলক ও দেননি। মহেশখালীর অন্যান্য এলাকায় নির্মিত হওয়া একই মানের ভবণগুলি দেখলে বুঝা যায়। কি পরিমান হরিলুট হয়েছে। তবে নির্মাণ কাজ শুরুতে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ বার বার স্কুল কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসী সংশ্লিষ্টদের নিকট করলেও কাজ তদারককারী মহেশখালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তা আমলে না নেয়ায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। জানা যায়, মাস দু’য়েক পূর্বে ঢাকা থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী সাঈদুল ইসলাম সহ একটি টিম এসে উক্ত ভবনটি পরিদর্শন করেন এবং ফাটলের সত্যতাও পান। তাৎক্ষণিক তা ঠিক করে দেওয়ার নির্দেশ দিলেও ঠিকাদারের কারসাজিতে এখনো ওই অবস্থায়! এ ভবন উদ্বোধনের আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের একটি তদন্ত টিম পরিদর্শনের দাবী জানান তিনিসহ স্কুল কমিটির সদস্যরা। অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের জন্য দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর কর্তৃক বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য ২ কোটি ৬ লাখ ৭৪ হাজার ৯ টাকা ২১ পয়সার বরাদ্দ দেয়া হয়। উক্ত ভবন নির্মাণকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শুরু থেকে বিভিন্ন অনিয়ম করে কাজ করায় এলাকাবাসী বহুবার নির্মাণ কাজে বাঁধা ও দেন। কিন্তু তদারককারী প্রতিষ্ঠান মহেশখালী উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তা মোটেই আমলে নেননি। ফলে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার যেনতেন ভাবে উক্ত ভবন নির্মাণের কাজ কয়েকমাস পূর্বে সম্পন্ন করেন। কিন্তু উদ্বোধনের অপেক্ষায়। এ সময়ের মধ্যে উক্ত ভবনের বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরেছে। তা দেখে ঐ স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে চলছে অজনা আতঙ্ক। যা ভয়াবহ কোন বড় ধরনের ঘুর্ণিঝড়ে ভনটি ধসে পড়তে পারে এমনটিও আশংকা করছেন সচেতন মহল। উত্তর নলবিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, উদ্বোধনের আগে ভবনের ভিতরে বাহিরে বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরায় তিনি নিজেই আতঙ্কিত। মহেশখালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে বিষয়টি জানাননি তবে ভবনের প্লাষ্টারে ফাটল ধরতে পারে। সেটা আমি নিশ্চিই সরেজমিনে গিয়ে কাজ শতভাগ সম্পন্ন করব বলেও জানান।