সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৪ অপরাহ্ন

কালীগঞ্জে কৃষকের আমন ধান ও বোরো ধানের বীজ ক্ষেত ডুবলো পানিতে:ব্যাপক ক্ষতির শংকা

কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২১

নি¤œচাপের প্রভাবে দু,দিন চলেছে বিরতিহীন ভাবে বৃষ্টি। যা মাঠভরা পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। কেননা এ এলাকার অধিকাংশ পাকা আমনের ক্ষেত এখন কাদা পানিতে একাকার। এভাবে কয়েকদিন থাকলে খরচের টাকাও আসবে না কৃষকের ঘরে। কোন কোন ক্ষেতের ধান বৃষ্টির আগেই কেটে গোখাদ্যের জন্য রয়েছে ফেলে রাখা হয়েছে। আবার কোন কোন ক্ষেতের ধান না কাটলেও বৃষ্টি ও বাতাসে মাটিতে নুয়ে পড়ে এখন পানির নিচে। ক্ষেতের ধান নিয়ে এমন বেকায়দায় সব আমন চাষিই। কৃষকরা ধান এখন মাঠে কেটে রেখেছেন। আবার বোরো ধানের বীজতলা, রবি ফসল, আলু ক্ষেত ও নষ্ট হয়েছে। কৃষি অফিস বলছেন মাঠে এখনও প্রায় ১ হাজার বিঘা জমিতে পাকা ধান রয়েছে। কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন মাঠে গেলে দেখা যায়, দু,দিনের বৃষ্টিতে বাতাসে ক্ষেতের বাইল ভারী সব ধান গাছ মাটিতে শুয়ে পড়েছে। অসময়ের এ বৃষ্টিতে নিচু মাঠের জমি গুলোতে আরও বেগতিক অবস্থ। বিল এলাকার ধানে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, প্রতিটি ক্ষেতের ধান এখন পানিতে ভাসছে। কৃষকরা বলছে অসময়ের বৃষ্টিতে সব শেষ হয়ে গেছে। এখন না খেয়ে মরতে হবে। ক্ষেতের ধান বাঁচাতে হলে দ্রুতই ভেজা ধান শুকাতে হবে। সে জন্য ভেজা ধান ক্ষেতে পানি থেকে উঠিয়ে অপেক্ষাকৃত উঁচু স্থানে রাখতে হবে। ফারাসপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম জানান, ক্ষেতের ধান গোখাদ্য বিচালি খড়ের জন্য শুকা”িছলেন। কিন্তু তা তো হলোই না বরং ধান পানির মধ্যে তলিয়ে নষ্ট হ”েছ। আর গোখাদ্যের মূল্যবান বিচাল পঁচে গলে নষ্ট হচ্ছে। কালুখালি, মধুপুর, কোলাবাজার, কামালহাট, বিনোতপুর কৃষকরা বলছেন এ মৌসুমের আমন ধানের বিচালি বা খড় অনেক বেশি দামে বিক্রি হবে। প্রতি বিঘা জমির বিচালি এখনই বিক্রি হচ্ছে প্রায় সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা। কিন্তু বৃষ্টির পানিতে ধান ও বিচালি উভয়ই চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অবস্থা এমন এবার মানুষ হয়তো ধার-দেনা করে বাঁচতে পারবে কিন্তু কৃষকের সম্পদ গবাদি পশু কিভাবে বাঁচবে। কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিকদার মোহাম্মদ মোহায়মেন আক্তার জানান, চলতি আমন মৌসুমে এ উপজেলার ধানচাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ৫শ’ হেক্টর। কিন্তু চাষ হয়েছে ১৮ হাজার ৭শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২শ’ ৫০ হেক্টর বেশি জমিতে আমন চাষ হয়েছে। তন্মধ্যে প্রায় ৮০ ভাগ জমির ধান কৃষকেরা ঘরে তুলতে পেরেছেন। বাকিটা ক্ষেতের ধান নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। এভাবে পানি জমে থাকলে রবি ফসল, আমন ধান, ও বোরো ধানের বীজতলা সবই নষ্ট হয়ে যাবে। এবার বোরো ধানে রোপনের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা করা হয়েছে ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে এবং বোরো ধানের বীজতলা রোপনের লক্ষমাত্রা রয়েছে সাড়ে ৬,শ বিঘা জমিতে। কৃষি কর্মকর্তা বলছেন,বোরো ধানের বীজ ক্ষেত, আমন ধান ও রবি ফসলের জমিতে পানি জমে থাকলে কৃষকের অনেকটা ক্ষতি হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com