ভালুকায় মুক্ত দিবস পালন উপলক্ষে ৮ ডিসেম্বর বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় স্থানীয় এমপি আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনুসহ মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয় থেকে একটি বিজয় র?্যালী বের হয়। র?্যালিটি পৌর সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসে শেষ হয়।এর আগে এফ.জে ১১ নং সেক্টরের সাবসেক্টর কমান্ডার মেজর আফসার উদ্দিন আহম্মেদ এর কবর জিয়ারত করেন। উপজেলা পরিষদ চত্তরে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু বেলুন উড়িয়ে মুক্ত দিবসের বিভিন্ন কর্মসুচীর শুভ উদ্বোধন করেন। পরে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল বাকিউল বারীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ভাচর্যুয়ালী যুক্ত হন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। এতে আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ্যাডভোকেট শওকত আলী,সাধারন সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম পিন্টু, ভালুকা থানার ওসি মাহমুদুল ইসলাম, আব্দুল বারেক মুক্তিযোদ্ধা মেদুয়ারী ইউনিয়ন কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খানসহ আফছার উদ্দিন প্রমুখ। মুক্ত দিবস উপলক্ষে স্থানীয় আ.লীগ ৮ ডিসেম্বর থেকে ৭ দিনের কর্মসুচী ঘোষনা করেন। কর্মসুচীর মধ্যে রয়েছে মেলা.সাংস্কৃতি অনুষ্টান ও নাটক সহ বিভিন্ন অনুষ্টান মালা। ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর রাতে এফ.জে ১১ নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার মেজর আফসার উদ্দিনের নেতর্ত্বে মুক্তিযোদ্ধারা ভালুকার পাকহানাদার বাহিনীর ক্যাম্প তিন দিক থেকে আক্রমন করে প্রচন্ড গোলা বর্ষন করে। সারারাত ব্যাপী গোলা বর্ষনের ফলে পাকহানাদার বাহিনী টিকতে না পেয়ে ওই রাতেই ভোর ৫টায় ভালুকা ছেড়ে পায়ে হেটে পাশ্ববর্তী উপজেলা গফরগাঁও পালিয়ে যাওয়ার সময় গফরগাঁও লামকাইল নামক স্থানে মুক্তিযোদ্ধারা চার দিক থেকে আক্রমন করে। এ যোদ্ধে বহু পাকসেনা নিহত হয়। পরে পাকবাহিনীর সৈনিকরা গফরগাঁও থেকে ট্রেনে করে ঢাকা চলে যায়।