সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে খাস কালেকশনের নামে দুর্নীতি: জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ নতজানু নীতির কারণে হাসিনা সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদ করেননি খেলাধুলা শরীরিক ওমানসিক বিকাশ ঘটায় : রেজওয়ানুল হক পাটগ্রামের দহগ্রামে বন্যা কবলিত পরিবারের মাঝে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ত্রাণ সহায়তা প্রদান কালীগঞ্জে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন ফটিকছড়িতে হামলার পর উল্টো মামলা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ! লাকসামে ১৬৫ পরিবারকে স্পেন-বাংলাদেশ সোসাইটির নগদ অর্থ সহায়তা শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে নড়াইলে হরিলীলামৃত স্কুলের শিক্ষকদের সম্মানী প্রদান ফুলপুরে বন্যার মারাত্মক অবনতি রায়গঞ্জে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত

অপুষ্টিতে ভুগছে সুনামগঞ্জের ৫২ শতাংশ শিশু

সিলেট ব্যুরো :
  • আপডেট সময় বুধবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২১

হাওরবেষ্টিত সুনামগঞ্জ জেলা প্রাকৃতিকভাবে সমৃদ্ধশালী হলেও দারিদ্রতার হার তুলনামূলকভাবে বেশি হওয়ায় অপুষ্টিতে ভুগছে এ অঞ্চলের শিশুরা। সুনামগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন অফিসের জরিপ অনুযায়ী জেলায় ৫২ শতাংশ শিশুরা অপুষ্টিজনীত রোগে আক্রান্ত। অভাব অনটনের ফলে শিশুদের জন্য আলাদা করে পুষ্টিকর খাবারের জোগান দিতে না পারা ও সরকারিভাবে কোন সহযোগিতা না পাওয়ার আক্ষেপ রয়েছে অভিভাবকদের। সুনামগঞ্জ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়াতথ্য মতে, এ জেলায় বর্তমান খর্বাকার রোগে ভুগছে ৫২ শতাংশ শিশু, ক্ষীনকার ১৫ শতাংশ শিশু, কম ওজন নিয়ে জজন্মগ্রহণ করা শিশুর সংখ্যা ২৬ শতাংশ এবং নিরাপদ মায়ের বুকের দুধ এর অভাবে ভোগছে ৫৫ শতাংশ শিশুরা। অর্থ সংকট ও সচেতনতার অভাবে নি¤œ ও মধ্যম আয়ের পরিবারের পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুরাই বেশি অপুষ্টিতে ভুগছে। যার মধ্যে সুনামগঞ্জের শাল্লা, মধ্যনগর ও দোয়ারাবাজার উপজেলার শিশুরা তুলনামূলকভাবে বেশিই অপুষ্টির শিকার। সরজমিনে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার ও শাল্লা উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখাযায় শহরের শিশুদের তুলনায় এ সকল অঞ্চলের শিশুরা রোগা ও বেটে। এছাড়া এ সকল গ্রামের মানুষের দিন আনি দিন খাই অবস্থা হওয়ায় আলাদাভাবে শিশুর বিকাশের দিকে মনযোগ নেই অভিভাবকদের। সুনামগঞ্জ জেলা ধান ও মাছের জন্য বিখ্যাত হলেও অন্যান্য শাক সবজি ফলন সংখ্যা কম হওয়ায় তিনবেলার খাবারের যোগান দেয়াই বর্তমানে কষ্টসাধ্য হয়ে গিয়েছে এ অঞ্চলের মানুষদের, তাছাড়া হাওরের জালে জেলেদের ছোট-বড় দেশি ও পুষ্টিকর মাছ উঠলেও সেই মাছ নিজের সন্তানদের না খায়িয়ে বাজারে বিক্রি করে বাড়িতে নিয়ে যান পাঙ্গাস মাছ। এছাড়া এ অঞ্চলের মানুষদের অভিযোগ সরকারিভাবে শিশুদের টিকা দান ও ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানো ছাড়া আর কোন কার্যক্রম না থাকার বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান) সুনামগঞ্জের সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা হাওর এলাকার অবহেলিত কৃষক জেলে থেকে শুরু করে সকল শ্রেনীর মানুষদের ফসল ও বিভিন্ন রকমের শাক সবজি উৎপাদন এবং এগুলোতে থাকা ভিটামিন সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছি, এখন তারা যদি আমাদের দেয়া প্রশিক্ষণ বাস্তবিক অর্থে ব্যবহার করেন তাহলে তাদের পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা নিরসন করে অবশিষ্ট বাজারে বিক্রি করেও লাভবান হতে পারবেন। সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, হাওরের প্রান্তিক পর্যায়ের শিশুরাই পুষ্টিহীনতা বেশি ভুগছে, তাদের তুলনায় শহর কেন্দ্রিক বসবাসকারীরা শিশুরা ভালো অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া হাওরের মায়েদেরও কিছুটা দায়ছাড়া ভাব রয়েছে এবং বর্তমানে এমনও দেখা যায় হাওরে অনেক পুষ্টিকর মাছ পাওয়া গেলেও সেটা তারা বিক্রি করে চাল ডাল আলু আর পাঙ্গাস মাছ নিয়ে যাচ্ছেন এছাড়া এ সকল মানুষ খাবারে বৈচিত্রতার অভাব রয়েছে, এক জরিপ দেখা গেছে সুনামগঞ্জের আনুমানিক ৬২.৪% পরিবার দৈনিক ব্যবহারের জন্য শুধুমাত্র প্রধান খাদ্য ক্রয় করে। তিনি আরও বলেন, আমাদের কিছুই একটা করার নেই এখানে শুধু আমি একাই কাজ করি আমার বাকি পদগুলো শুন্য অবস্থানে রয়েছে, আমি একা সবদিক কিভাবে দেখবো আমরা প্রায় সময়ই নিয়োগের জন্য বলি কিন্তু এটা হয়েও হয়ে উঠছে না। সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. শামস উদ্দিন বলেন, জেলার প্রতিটি ওয়ার্ডেই পুষ্টি বিষয়ক কার্যক্রম চালু আছে এবং মা সমাবেশসহ নানা প্রচারনা করা হয় এছাড়া আমাদের হাতে কোন প্রকল্প নেই।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com