কোভিড-১৯ মহামারীতে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে মৃত্যুর হার মাঝখানে কয়েক দিন কম থাকলেও ফের বেড়েছে।সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেড় হাজারের বেশি মৃত্যু হয়েছে দেশটিতে। এ নিয়ে প্রাণহানির সংখ্যা ৯৩ হাজার ছাড়িয়েছে। বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যাও।
করোনাভাইরাসে প্রাণহানি ও আক্রান্তের পরিসংখ্যান রাখা আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়াল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্যানুযায়ী, বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত কোভিড-১৯ এ যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৭০ হাজার ৫৮৩ জন। আর মারা গেছেন ৯৩ হাজার ৫৩৩ জন।সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ লাখ ৬১ হাজার ১৮০ জন।আক্রান্তদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৭১৩ জন।
আর জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বলছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে সাড়ে ৮টা (বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল সাড়ে ৬টা) পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ এ মৃত্যু হয়েছে ১৫৩৬ জনের। তাতে মোট মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯১ হাজার ৮৪৫ জন, যা বিশ্বের মোট মৃত্যুর এক-চতুর্থাংশেরও বেশি।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে সোমবার মৃত্যু হয়েছিল ৭৫৯ জনের; আগের দিন মৃত্যু হয়েছিল ৮২০ জনের।
২৪ ঘণ্টায় ২০ হাজার ছাড়ানো নতুন আক্রান্ত নিয়ে মোট আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ১৫ লাখ ২৭ হাজার, যা বিশ্বের মোট আক্রান্তের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ।
বিশ্বজুড়েই বেড়েছে আক্রান্ত-মৃত্যুর সংখ্যা। আক্রান্ত ৪৯ লাখ ছুঁই ছুঁই; এর মধ্যে সুস্থ ১৬ লাখ ৮৮ হাজার, মৃত্যু ছাড়িয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার ছাড়িয়েছে।
মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই রয়েছে যুক্তরাজ্য, ৩৫ হাজার ছাড়িয়েছে। এই তালিকায় তৃতীয়স্থানে ইতালি ৩২ হাজার।
২৮ হাজার ছাড়ানো মৃত্যু নিয়ে চতুর্থস্থানে উঠে এসেছে ফ্রান্স। পঞ্চমস্থানে আছে স্পেন, ২৭ হাজার ৭০০। ষষ্ঠস্থানে ব্রাজিল, ১৮ হাজার ছুঁই ছুঁই।
আক্রান্তের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পরেই রয়েছে রাশিয়া, ৩ লাখ ছুঁই ছুঁই। তৃতীয়স্থানে ব্রাজিল, ২ লাখ ৭১ হাজার।
আড়াই লাখ ছাড়ানো আক্রান্ত নিয়ে চতুর্থস্থানে যুক্তরাজ্য। চতুর্থস্থানে স্পেন, ২ লাখ ৩২ হাজার। ইতালি আছে পঞ্চমস্থানে ২ লাখ ২৬ হাজার। এক লাখ ৮০ হাজার ছাড়ানো আক্রান্ত নিয়ে ষষ্ঠস্থানে ফ্রান্স।
আক্রান্ত বেড়েছে ভারতেও। প্রায় ছয় হাজার ছাড়ানো নতুন আক্রান্ত নিয়ে মোট আক্রান্ত ১ লাখ ৬ হাজার ছাড়িয়েছে; এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৩০২ জনের।
মঙ্গলবার পর্যন্ত বাংলাদেশে আক্রান্ত ২৫ হাজার ১২১ জন; মৃত্যু ৩৭০ জন।
এমআর/প্রিন্স