পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অযোগ্য ঘোষণার আপিল খারিজ করে দিয়েছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। তাইরিয়ান হোয়াইট নামে একটি কন্যা সন্তানের জনক তিনি এবং তার পিতৃত্ব গোপন করেছেন ইমরান খান, এ অভিযোগে ওই আপিল করা হয়েছিল। তিন বছর চার মাস পর মঙ্গলবার এ অভিযোগের শুনানি হয় হাইকোর্টে বিচারক আতহার মিনাল্লাহ ও বিচারপতি আরবাব মোহাম্মদ তাহিরের সমন্বয়ে গঠিত দুই সদস্যের বেে । এ খবর দিয়ে অনলাইন ডন বলছে, বেে সংক্ষিপ্ত শুনানি হয়েছে। ইমরান খানের বিরুদ্ধে ওই আপিল করার পর তা প্রত্যাহারের আবেদন করেছিলেন আপিলকারী আবদুল ওয়াহাব বেলুচ। এদিন শুনানিতে তা অনুমোদন করেন বিচারকরা। এর পরপরই ঘোষণা দেয়া হয় যে, আপিল প্রত্যাহারের মাধ্যমে এই মামলা খারিজ হয়ে গেল।
ইমরান খানকে অযোগ্য ঘোষণার দাবি জানিয়ে আপিল করেছিলেন জাস্টিস অ্যান্ড ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা এক নেতার পক্ষে পাকিস্তানের সাবেক প্রধান বিচারপতি ইফতিখার মোহাম্মদ চৌধুরী। জাতীয় পরিষদে ইসলামাবাদে ৫৩ নম্বর নির্বাচনী এলাকায় ইমরান খানের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন আবদুল ওয়াহাব বেলুচ। ওই সময় তিনি একটি আপিল করেন। তাতে বলেন, তাইরিয়ান নামে ইমরান খানের একটি মেয়ে আছে। তিনি সে কথা গোপন রেখেছেন। এ জন্য নির্বাচনের আগে তিনি ইমরান খানের মনোনয়নের বিরুদ্ধে ওই আপিল করেন ২০১৮ সালে। পরে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফে যোগ দেন আবদুল ওয়াহাব বেলুচ। তাকে নিয়োগ দেয়া হয় ডেপুটি এটর্নি জেনারেল। আগে করা পিটিশন প্রত্যাহার চেয়ে তিনি আবেদন করেন। তবে তিন বছরের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও ইসলামাবাদ হাইকোর্ট এ বিষয়টির সুরাহা করতে পারেনি।
ডন লিখেছে, আবদুল ওয়াহাব বেলুচের প্রাথমিক আপিলের শুনানি বিভিন্ন কারণে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এর আগে তিনি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে গিয়েছিলেন। সেখানেও তার আপত্তি খারিজ হয়ে যায়।