গাজীপুরের কালীগঞ্জে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে প্রেমিকার সাথে অভিমান করে মারুফ ভুইয়া(২৩) নামের এক কলেজ ছাত্রের আতœহত্যার সংবাদ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের কাউলিতা উত্তর পাড়া ভূঁইয়া বাড়িতে। নিহত ওই শিক্ষার্থী স্থানীয় আওড়াখালী বাজার ব্যবসায়ী মতিউর রহমানে ছেলে। সে ঢাকা কলেজের রসায়নের বিভাগের ৩য় বর্ষে অধ্যয়নরত ছিল। এ বিষয়ে থানার ওসি (অপারেশন) কায়সার আহমেদ বলেন- সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে তদন্ত সাপেক্ষে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে নিহতের বাবা মতিউর রহমান ভুইয়া বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন। যাহার নম্বর ৪৩। এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিন্টু মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন- প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে সে আত্মহত্যা করে। নিহতের পরিবারের লোকজনদের কোন আপত্তি না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে তার পরিবারের নিকট লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাদিয়া আক্তার নুপুরের সাথে তার দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই প্রেমিরে সাথে অভিমান করে সে আতœহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের বাবা মতিউর রহমান জানান-প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার রাতে খাবার খেয়ে সে ঘুমিয়ে পড়ে। পরদিন বৃহস্পতিবার ভোরে ফজরের নামাজ পড়তে ছেলেকে বলে আমি মসজিদে চলে যাাই। পরে ছেলে ঘুম থেকে উঠে বাড়িতেই ফজরের নামজ আদায় করে সে নিজ ঘরেই অবস্থান করছিল। নিহতে বড় ভাই মাসুম ভুইয়া মসজিদ থেকে বাড়িতে গিয়ে ছোট ভাইয়ের ঘরের দরজা বন্ধ পেয়ে ডাকাডাকি করতে থাকেন। পরে তার কোন সাঁড়া শব্দ না পেয়ে ঘরের জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে মারুফকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে থাকতে দেখেন। তার ডাক-চিৎকার বাড়ির লোকজন এসে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে তাকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বাদ আছর নিহতের নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।