বিএনপিকে দোষারোপের রাজনীতি পরিহারের আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও স¤প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘বিএনপি সারাদেশে যেখানেই সমাবেশ করে, সেখানেই নিজেরা মারামারি করে। তারা নিজেদের বিশৃঙ্খলা আড়াল করার জন্য সরকারের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।’ গতকাল শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে মন্ত্রীর বাসভবনে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
হবিগঞ্জে বিএনপির সমাবেশে বিনা উসকানিতে পুলিশ গুলিবর্ষণ করার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জাবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘হবিগঞ্জের আগে সিলেটে তাদের বিজয় দিবস উপলক্ষে ডাকা সমাবেশে চেয়ারে বসা নিয়ে তারা যেভাবে মারামারি করেছে, সেই ভয়ে আশপাশে সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তাদের নিজেদের মধ্যে মারামারির কারণে জনগণ আতঙ্কিত। একই ঘটনা হবিগঞ্জেও। সেখানেও তাদের বিশৃঙ্খলা ও মারামারি ঠেকাতে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হয়েছিল, এছাড়া অন্য কিছু নয়।’
‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেব তো নিজেদের মারামারির বিষয় নিয়ে কোনও কিছুই বলছেন না’ উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির সভায় বিভিন্ন সময়ে যে হট্টগোল হয় তা ঠেকানোর জন্য মির্জা ফখরুল সাহেবকে চিৎকার করতে হয়। একটি বড় রাজনৈতিক দলের মহাসচিবের সামনে যেভাবে বিশৃঙ্খলা হয়, সেটা তাদের জন্য লজ্জকর।’ এ সময় নিজেদের বিশৃঙ্খলা আড়াল করতে সরকারের ওপর দোষারোপের রাজনীতি পরিহার করার আহ্বান জানান তিনি।স¤প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ সময় ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকা-ে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘সরকার এর তদন্ত করবে এবং যদি এই ঘটনায় কেউ দোষী হয় অব্যশই তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।’ তথ্যমন্ত্রী শুক্রবার দৈনিক ইত্তেফাকের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর কাওরান বাজারে ইত্তেফাক ভবনে পত্রিকাটির সাবেক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও সম্পাদক তাসমিমা হোসেনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এ সময় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামে ইত্তেফাকের ভূমিকা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়েও দেশ গড়ার কাজে ইত্তেফাক অবদান রেখে চলেছে।’
মন্ত্রী হাছান ইত্তেফাককে একটি পত্রিকা দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রিয় থাকার অনন্য উদাহরণ হিসেবে বর্ণনা করে পত্রিকাসংশ্লিষ্ট সবাইকে এবং এর পাঠকদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছার লক্ষ্যে ইত্তেফাকের ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বলে আশাপ্রকাশ করেন।