জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি শহরের প্রাণকেন্দ্রে তিনমাথা মোড়েই ঐতিহ্যের কুঠরি আর শিক্ষাবিদ প্রচার বিমুখ মারহুম মাগফুর রিয়াজ দেওয়ান মাষ্টারের সুযোগ্য সন্তান, জয়পুরহাট চিনিকলের সুপরিচিত বিদ্যালয়ের সুনামধন্য শিক্ষক আব্দুর রশিদ মাষ্টারের ঘরে আলোকবিন্দু হয়ে জন্ম নেয়া দেওয়ান রাসেল। পারিবারিক ঐতিহ্য মোতাবেক স্বল্পভাষী, রুচিসম্মত মননের অধিকারী মানবতার জন্য উৎসর্গ প্রাণ পাঁচবিবি মানবতার দেওয়ালের প্রতিষ্ঠাতা, সুপার ঈগল সাহিত্য সংগঠক, পাঁচবিবির সাহিত্য মঞ্চের উদ্যোক্তাদের অন্যতম, পাঁচবিবি বনিক সমিতির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ও একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দেওয়ান রাসেল গোটা পাঁচবিবিতে সুধীজনের নজড় কেড়ে অবদানের জন্য উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক পুরস্কার পেয়েছেন। তবে পুরস্কার পেলো কি পেলো না তা নিয়ে মোটেও বিচলিত নয় দেওয়ান রাসেল। অদম্য আগ্রহ আর অবিরাম প্রচেষ্টা, নির্লোভ নিরহংকার মনের এই যুবক কনকনে ঠান্ডার প্রকোপে রাস্তাঘাট ও ছিন্নমূল মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। কে কি বললো সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই। তার একটাই চিন্তা, কিভাবে পৌঁছে যাবেন সমাজের অবহেলিত জনগোষ্ঠীর মুখে একটু হাসির ঝলকানি। কিছু সমালোচক বিরুদ্ধ মনোভাবাপন্ন মানুষ অনেক উপহাস করেও থামাতে পারেনি দেওয়ান রাসেল এর অগ্রযাত্রাকে। দেওয়ান রাসেলের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান নিজের দোকানের পাশে দেওয়ালের গায়ে সংগৃহীত কাপড় ঝুলিয়ে রাখি, মানুষ যেন সেখান থেকে নিয়ে যান। ভুক্ষা মানুষ খুঁজে বের করে নিজের টাকায় বা দান সংগ্রহ করে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেই। প্রতিবন্ধী খুঁজে বের করে হুইল চেয়ার নিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছুটে যাই। ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছি, ইতিমধ্যে শীতার্ত মানুষকে শত শত কম্বল বিতরণ করেছি। করোনার সময় নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নি¤œ আয়ের শত শত মানুষের বাড়িতে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি। এবারে শীতে বয়স্কদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছি। তিনি আরোও বলেন আমার কোন চাওয়া পাওয়া নেই আমি যতদিন বাঁচবো ততদিন অসহায় হতদরিদ্র গরীব এতিম প্রতিবন্ধী মানুষের সেবা করে যাব।