রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খান। বিএনপির এই নেতা একাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ আসনে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন।
কিন্তু শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ দাখিল না করায় এবং বিদ্যুতের বিল খেলাপি হওয়ায় সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তার বিরুদ্ধে তিনি নির্বাচন কমিশনে আপিল করলে শনিবার নির্বাচন ভবনে তৃতীয় দিনের শুনানিতে মোরশেদ খানের আবেদনটি ওঠে।
শুনানি শেষে সিইসি কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন আপিল কর্তৃপক্ষ মোরশেদ খানের আবেদন মঞ্জুর করে। তার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন। শুনানি শেষে মোরশেদ খান সাংবাদিকদের বলেন, “প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে আমি অত্যন্ত সন্তুষ্ট। নির্বাচন কমিশন আমার প্রতি সদয় আচরণ করেছে।”
চট্টগ্রাম-৮ আসনে ধানের শীষের চূড়ান্ত প্রার্থী বিএনপি এখনও ঘোষণা করেনি। এই আসনটি আওয়ামী লীগ তাদের জোট শরিক দল জাসদের মইন উদ্দিন খান বাদলকে ছেড়ে দিয়েছে।
নির্বাচন ভবনের একাদশ তলায় শনিবার সকাল ১০টা থেকে তৃতীয় দিনের আপিল শুনানি শুরু হয়। চট্টগ্রাম-৫ আসনে বিএনপি নেতা মীর মো. নাছির উদ্দিনের ছেলে মীর হেলাল উদ্দিনের মনোনয়নপত্র আপিলেও বাতিল রয়ে গেছে। এর আগে মীর নাছিরও আপিল করে বিফল হয়েছিলেন।
মীর নাছিরের মতো ছেলের মনোনয়নপত্রও মামলা সংক্রান্ত কারণে বাতিল হয়েছে। টাঙ্গাইল-৪ ও ৮ আসনে আবদুল কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি হলেও সিদ্ধান্ত সঙ্গে সঙ্গে জানানো হয়নি। বিকালে এ সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
ফেনী-১ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আবেদনের শুনানি হবে দুপুরে। বগুড়া-৬ এবং বগুড়া-৭ আসনে তার আপিল শুনানিও হবে এরপর। এর আগে প্রথম দিন ৫৪৩টি আপিল আবেদনের মধ্যে ১৬০টি আবেদনের নিষ্পত্তি হয়েছে, যার মধ্যে ৮০ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। দ্বিতীয় দিন ১৫০টি আপিল আবেদনের মধ্যে ৭৮টি আবেদন মঞ্জুর করে ইসি।
খবরপত্র/এমআই