আসল সাংবাদিকের চেয়ে নকল সাংবাদিকের সংখ্যা বেড়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘এখন যে কেউ সাংবাদিক পরিচয় দেয়। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বড় শহরে না বাড়লেও উপজেলাগুলোতে নকল সাংবাদিক অনেক বেড়ে গেছে। তারা গাড়িতে স্টিকার লাগিয়ে ঘুরে বেড়ায়। কোথাকার সাংবাদিক জিজ্ঞেস করে উত্তর জানলে নিজেই লজ্জিত হবেন। এতে সাংবাদিকদের প্রতি সাধারণ মানুষের বিরূপ ধারণা তৈরি হচ্ছে।’
গতকাল রবিবার (২ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে চট্টগ্রাম বিভাগ সাংবাদিক ফোরামের মিলনমেলা ও দ্বিবার্ষিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। শীতকালীন অধিবেশনে গণমাধ্যমকর্মী আইন উত্থাপন হবে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিকদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল গণমাধ্যমকর্মী আইন। আইনটি ইতোমধ্যে আইনমন্ত্রী স্বাক্ষর করে দিয়েছেন। আশা করছি, আগামী শীতকালীন সংসদ অধিবেশনে আমরা সেটি নিয়ে যেতে পারব। এটি আইনে রূপান্তরিত হলে সম্প্রচার, অনলাইন, রেডিও, পত্রিকার সঙ্গে যেসব সাংবাদিক যুক্ত আছেন তাদের আইনি সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে।’
বর্তমানে বাংলাদেশ বহুদূর এগিয়ে গেছে দাবি করে হাছান মাহমুদ জানান, বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৫৫৪ মার্কিন ডলার। দারিদ্রসীমার নিচে বাস করা লোকসংখ্যার হার ২০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। করোনার মধ্যে মাত্র ২১টি দেশের জিডিপি বেড়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি।
তিনি বলেন, আজকে দেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে এটি অনেকের পছন্দ নয়। দেশ এগিয়ে যেতে হলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রয়োজন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির হাত থেকে দেশকে সমাজকে রক্ষা করা প্রয়োজন। সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই সরকারের সমালোচনা হবে। কোনও জায়গায় দায়িত্বশীলরা ভুল করে সেটি নিয়ে সমালোচনা হবে। কিন্তু সমালোচনাটা এমন না হয় যে দুষ্কৃতির হাতে দেশটা চলে যায়। আপনাদের কাছে সেই নিবেদনটুকু রাখি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক ও প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল। এছাড়াও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংবাদিক ফোরামের নেতা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।