৫ম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সীবাজার ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য মো. রাইনুল ইসলাম (সালাউদ্দিন) ও তার সমর্থকদের হুমকি, মারধর করার ঘটনায় এলাকায় আতংকত ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। অভিযোগ উঠে, প্রতিদ্বন্ধি পরাজিত তিন সদস্য প্রার্থী ও তাদের লোকজনের অব্যাহত হুমকিতে বিজয়ী সদস্য ও তার কর্মী-সমর্থকরা ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। বিজয়ী সদস্যের এক কর্মীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালাবদ্ধ করে ও আরেক কর্মীর উপর হামলা করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছে। শুক্রবার বেলা ৩টায় সরেজমিন মুন্সীবাজার ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য মো. রাইনুল ইসলাম (সালাউদ্দিন) এর জালালপুরস্থ নিজ বাড়িতে গেলে দেখা যায়, তাঁর শতাধিক লোক এখানে জড়ো হয়েছে। এ সময় এলাকাবাসী রমজান মিয়া, ছালিক মিয়া, বাছিত মিয়া, হরজুম মিয়া, জলই মিয়া, ওয়াসিদ মিয়া, রইছ মিয়া মিয়া, হাসিম মিয়া, মাহমুদ আলী প্রমুখ লোকজন জানান, গত ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে মুন্সীবাজার ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য মো. রাইনুল ইসলাম (সালাউদ্দিন) ৫৪৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। এ নির্বাচনে পরাজিত হয়ে প্রতিদ্বন্ধি পরাজিত তিন সদস্য প্রার্থী মো: দুলাল মিয়া, মো: নওরুজ মিয়া, আব্দুল মজিদ ও তাদের সমর্থকরা নির্বাচনের পরদিন বৃহস্পতিবার বিজয়ী ইউপি সদস্যের কর্মী জৈন উদ্দিনের ঠাকুরবাজারস্থ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা মেরে দেয় এবং অমর শীল(২৭) নামে এক কর্মীকে মারধর করে। পরাজিত প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী ও তার সমর্থকদের অব্যাহত প্রাণনাশের হুমকিতে বিজয়ী ইউপি সদস্য মো. রাইনুল ইসলাম (সালাউদ্দিন) ও তার সমর্থকরা গত দুদিন ধরে বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। পরাজিত প্রার্থী ও তার সমর্থকরা বিজয়ী প্রার্থী ও আমাদের গৃহবন্দি করে রেখেছে। মুন্সীবাজার ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য মো. রাইনুল ইসলাম (সালাউদ্দিন) শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ৫ম ধাপে কমলগঞ্জ উপজেলায় অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে ৮নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য। আমার পিতা মরহুম মোবারক মিয়াও এই ওয়ার্ডের দীর্ঘদিন সদস্য ছিলেন। নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্ধী ছিলেন মো: দুলাল মিয়া, মো: নওরুজ মিয়া ও আব্দুল মজিদ। “নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীরা আমাকে ও আমার কর্মীদের ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। তারা লাঠিসোটা নিয়ে রাস্তাঘাটে ঘুরাঘুরি করছে। আমি ও আমার কর্মী সমর্থকরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন। বিষয়টি আমি মোবাইল ফোনে কমলগঞ্জ থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরাজিত প্রার্থী ও তার দলবল হামলার হুমকি দিচ্ছেন বলে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। অবরুদ্ধ অবস্থায় থাকায় মামলা করতে পারেনি, তবে মামলা করার প্রস্তুুতি নিচ্ছেন বলেও জানান নবনির্বাচিত এই ইউপি সদস্য। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত এক পরাজিত প্রার্থী মো: নওরুজ মিয়া ঘটনার সত্যতা অস্বীকার করে বলেন তিনি ও তার লোকজন কাউকে হুমকি-ধামকি দেননি। এ বিষয়ে কমলগঞ্জ থানার সহকারি উপ পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল হামিদ বলেন, পুলিশ সরেজমিন পরিদর্শন করে উভয় পক্ষকে ধৈর্য্য ধরার আহবান জানান। যেকোন ধরণের বিশৃংখলা হলে পুলিশ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তিনি আইনশৃংখলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে সকল প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের সংযত হতে অনুরোধ করেন।