জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়ন ও নয়ানগর এলাকায় ব্রক্ষ্পুত্রনদ থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ একটি সংর্ঘবদ্ধ চক্ত্র অবৈধ ভাবে ড্রেইজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছে। স্থানীয় কৃষকরা বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও পাচ্ছে না প্রতিকার। স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ যে জমি টুকুর উপর নীরভর করে চলে তাদের সংসার সেই জমিটুকুও শেষ পর্যন্ত বিলীন হওয়ার পথে অভিযোগ করেছেন একাধিক কৃষক। অন্যের জমি বর্গা নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে এমন কৃষকও রয়েছে কয়েক জন। স্থানীয় কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন যাবত মেলান্দহ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর ঘাট এলাকায় আওয়ামীলীগ নেতা আবু তারিক ও পুর্ব নয়ানগর এলাকায় শ্যামপুর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, শ্যামপুর উনিয়নের পৌর শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান চাক্কু ও রফিকুল ইসলামগংরা অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে।বালু পরিবহনে প্রতিনিয়তই যাতায়াত করছে বেশ কয়েকটি মাহিন্দ্র গাড়ি। এসব গাড়ি যাওয়া আসার সময় এতোপরিমানে ধুলাবালি উড়ায় রাস্তার চারিপাশ ধুলায় অন্ধকার করে ফেলে। আমরা আমাদের নিজ বাড়িঘরেও থাকতে পারিনা এই ধুলার কারণে। এসব বালু খেকু সন্ত্রাসীদের কারণে আমরা কৃষকরা মানবেতর জীবন যাপন করছি। তাদের বালু উত্তোলনের বিষয়ে কিছু বলতে গেলে তারা প্রাণনাশের হুমকী প্রদান করে।ভাঙ্গন আতঙ্কে দিন কাটছে আমাদের মতো স্থানীয় কৃষকদের। কৃষক মহির শেখ, মনু মিয়া, গায়েন আলীসহ অনেকেই বলেন, আমার শেষ সম্বল সামান্য একটু জমি ব্রক্ষপুত্র নদের তীরবর্তি এলাকায় সেটির পাশেই এই ড্রেজার মেশিন বসিয়েছে আওয়ামীলীগ নেতা আবু তারিক ও পুর্ব নয়ানগর এলাকায় শ্যাপুর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, শ্যামপুর উনিয়নের পৌর শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান চাক্কু ও রফিকুল ইসলামগংরা ফলে আমাদের শেষ সম্বল আবাদী জমি টুকুও ভেংগে যাচ্ছে ব্রক্ষপুত্র নদে। আমাদের এই জমিগুলি নদীতে চলে গেলে না খেয়ে মারা যাবো। এ কারণে আমরা ব্রক্ষপুত্র নদ থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবী জানাই। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবী একটাই এখানে বালু উত্তোলন বন্ধ করা হউক। না হলে আমরা অসহায় কৃষকরা না খেয়ে মারা যাবো।মেলান্দহ উপজেলার ভুমি কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, বেশ কিছুদিন আগে আমি সেখানে গিয়ে ড্রেইজার পুড়িয়ে দিয়ে ছিলাম। কিন্তু এস.এসসি পরীক্ষা ও করোনার কারনে ব্যস্ত থাকায় আমি আর খোন খোজ খবর নিতে পারিনাই। তবে আপনার কাছে বিষয়টি যেহেতু জানতে পারলাম অবশ্যই অবৈধ ড্রেইজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন দ্রুত সময়ের মধ্যই বন্ধ করা হবে।