সাংস্কৃতিক মন্ত্রনালয়ের সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর বলেছেন, জঙ্গীবাদকে উৎখাত করতে হলে আমাদের সাংস্কৃতি-সাহিত্য চর্চাকে শক্তিশালী করতে হবে। বাঙালী সংস্কৃতির সাধ পেলে দেশে জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাসবাদ থাকত না। গত শুক্রবার বীরগঞ্জ উপজেলার গোলাপগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠ প্রাঙ্গনে স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তী ও শব্দশর সাহিত্য সংগঠনের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে “শুদ্ধ স্বরে শব্দশর” স্লোগানে কবি, সাহিত্যিক ও গবেষকদের সম্মেলন-২০২২ এর অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা গুলো বলেন। শব্দশর সাহিত্য সংগঠনের সভাপতি বাবুল চৌধুরীর সভাপতিত্বে উদ্বোধন করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত ও আন্তজার্তিক খ্যাতিসম্পন্ন ফটো সাংবাদিক পাভেল রহমনা। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি, বিশিষ্ট শিক্ষাবীদ কার্টুনিস্ট ও চিত্রশিল্পী শিশির ভট্টাচার্য্য ও বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ডাঃ জবায়দুর রহিম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বীরগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক, গবেষক ড. মাসুদুল হক। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন শব্দশর এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ লাল মিঞা, শব্দশর এর উপদেষ্টা জলিল আহম্মেদ। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন কবি-সাহিত্যিক ও গবেষক বিধান দত্ত ও শব্দশর এর সহ-সভাপতি বাসব রায়। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে ঢাকা, রাজবাড়ী, ফ্রান্স, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও দিনাজপুরের কবি সাহিত্যিকরা কবিতা আবৃত্তি করে। আয়োজকরা প্রতিটি কবিকে এবং সম্মানিত অতিথিবৃন্দকে উত্তোরীয় ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি বলেন, জন্ম সকলেই নেয়। জন্মের পর সে প্রানী হয়। জন্ম নেওয়ার পরে মনুষ্যত্ব, মানবিকতাকে বিকশিত করার জন্য যে চর্চাটি দরকার সেটাই হচ্ছে সাহিত্য ও সংস্কৃতিক চর্চা এই চর্চা ছাড়া একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষ হয়ে ওঠা কঠিন। যারা সত্যিকার অর্থে সংস্কৃতিকে লালন করে তারা কখনো পাপ করতে পারে না।