যেভাবে সরানো হচ্ছে দুনিয়ার খুঁটি মহেশখালীর পাহাড়! এভাবে কাটা অব্যাহত থাকলে নিমিষেই শেষ হবে দেশের একমাত্র পাহাড়ি এ দ্বীপ! দিনদুপুরে স্কেভেটার গাড়ীর সাহায্যে কালারমারছড়া ইউপি চেয়ারমানের নেতৃত্বে এ পাহাড় কাটা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্কেভেটার ড্রাইভার। কিন্তু এসব মাটি বিক্রি হ”েছ চালিয়তলী টু মাতারবাড়ী সংযোগ সড়ক মেরামত কাজে ব্যবহার করা হ”েছ বলে এমন অভিযোগ ¯’ানীদের। তবে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রয় করা আইনগত দন্ডনীয় অপরাদ। কিন্তু এ আইন ওইসব প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের উপর প্রয়োগ না হওয়ায় এখনো বিরতিহীন চলমান রয়েছে পাহাড় কাটা। সরেজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে দোখা গেছে, কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়ার সোনার পাড়াস্থ এসপিএম প্রকল্প সংলগ্ন লাগোয়া এ পাহাড় থেকে মাটি লুটের মহোৎসব চললেও, বনবিভাগ রয়েছে নিরব ভূমিকায়। ধ্বংস হচ্ছে মহেশখালীর পাহাড়! একই ভাবে ক্ষতির সম্মূখীন হচ্ছে পরিবেশেরও। এতে জনমনে সৃষ্টি হয়েছে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া। কেন্ প্রশাসনের ঘুম ভাঙ্গেনি! জনমনে চলছে নানা ধরণের কানাঘুষা এ পাহাড়ের বিক্রিত মাটি দিয়ে ভরাট করা হ”েছ মাতারবাড়ী সড়ক। তবে সুশীল মহলের প্রশ্ন পাহাড়ের মাটি দিয়ে রাস্তা ভরাট করা কতটুকু যুক্তিযুক্ত? সচেতনমহল ও পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতারা পাহাড় কাটা থামানোর জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। মহেশখালী দ্বীপ রক্ষার্থে পাহাড় কাটা দ্র“ত বন্ধ করা প্রয়োজন বটে। না হয় সমুদ্রের ভূ-খন্ডে তলিয়ে যেতে পারে প্রাচীনতম এ জনবহুল এদ্বীপ। কালারমারছড়া বনবিটের ইনচার্জ আবুল কালাম এর নিকট থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাহাড় কেটে মাটি বিক্রয় করার অনুমোদনের কোন প্রশ্নই উঠেনা। এ বিষয়ে পাহাড় কাটায় অভিযুক্ত কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারেক বিন শরীফ বলেন, পাহাড়টি কাটার জন্য সিপিপি’র নিকট অনুমোদন রয়েছে। তাহলে কাটলে সমস্যা কোথায়? মহেশখালী বনবিভাগের রেঞ্জার আনিছুর রহমান, বলেন পাহাড় কাটা বিষয়ে তিনি অবগত নয়। এ বিষয়ে খোজ নিয়ে দ্র“ত ব্যব¯’া নিবেন বলে খবরপত্রকে জানান।