নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরাজিত স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের ১০ নেতাকর্মীর সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার (১৭ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় আসামিদের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ক অঞ্চলের বিচারক নুরুন নাহারের ইয়াসমিনের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাদের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। তবে আদালত এখন পর্যন্ত কোনও আদেশ দেয়নি। রিমান্ড শুনানিতে আসামিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার নিজেই অংশ নেন। এ সময় তিনি আসামিদের পাল্টা জামিনের আবেদন করে শুনানিতে অংশ নেন। আদালতে তার সঙ্গে সহযোগিতায় ছিলেন মেয়ে ব্যারিস্টার মার-ই-য়াম খন্দকারসহ আরও বেশ কয়েকজন আইনজীবী।
রিমান্ড শুনানি শেষে তৈমুর আলম খন্দকার অভিযোগ করে বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশ কয়েকদিনে তার প্রায় ৩০ নেতাকর্মীকে অযাচিত ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে গ্রেফতার করে হেফাজতের সহিংসতার মামলায় আসামি করেছে। নির্বাচনে ব্যাঘাত সৃষ্টির জন্য তার গাড়িচালকসহ ব্যক্তিগত কর্মচারিদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশপাশি দেড় শতাধিক নেতাকর্মীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আদালতের কোনও নির্দেশ আসেনি। তবে সন্তোষজনক না হলে তিনি উচ্চ আদালতে যাবেন।
তৈমুর আলম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া অপরাধ হয়ে থাকলে তাকে গ্রেফতার করা হোক। তবু তার কর্মীদের যেন মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশের নির্যাতন ও হয়রানি বন্ধের দাবি জানান তিনি। নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, আজ জামিন শুনানি হয়েছে। আদালত আদেশের জন্য রেখেছেন।