সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪১ অপরাহ্ন

কমলগঞ্জে অবৈধ ও অপরিকল্পিতভাবে ছড়া থেকে বালু উত্তোলন

আব্দুল বাছিত খান কমলগঞ্জ :
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২২

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের আলীনগর চা বাগানের ফাঁড়ি বাগান কামারছড়ার পাহাড়ি ছড়া থেকে প্রতিনিয়ত অবৈধ ও অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি চক্র। অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনে চা বাগানের প্লান্টেশন টিলার ক্ষতির সাথে ট্রাক ও ট্রলি দিয়ে পরিবহনে বাগানের আভ্যন্তরিক সড়কেরও ক্ষতি হচ্ছে। বারবার প্রশাসনকে অবহিত করে সহায়তা চাওয়ার পরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে বালু উত্তোলনের সাথে সক্রিয় চক্রটি এখন চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপককে নানাভাবে হুমকি প্রদান করছে। আলীনগর চা বাগানের ফাঁড়ি সুনছড়া ও কামারছড়া চা বাগানের পাহাড়ি সুনছড়া ও কামারছড়া থেকে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র বালু উত্তোলন করছে। এর মাঝে কামারছড়া থেকে সম্পর্ণরুপে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ছড়া তীরবর্তী চা প্লান্টেশন টিলায় ধস নেমেছে। পর্যায়ক্রমে ধস নেমে প্লান্টেশন টিলা এখন হুমকির মুখে। আবার ছড়া থেকে তোলা বালু ট্রাক ও ট্রলি দিয়ে চা বাগানের আভ্যন্তরিন রাস্তায় পরিবহন করায় বাগানের রাস্তারও ক্ষতি সাধন হচ্ছে। এ বিষয়ে আলীনগর চা বাগানের ব্যবস্থাপক দুইবার লিখিতভাবে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে অবহিত করে বালু তোলা বন্ধের সহায়তা কামনা করেছিলেন। এর পরও কামারছড়া বালু তোলা বন্ধে এখন পর্যন্ত প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। সম্প্রতি সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় ৮ থেকে ১০ জনের বালু শ্রমিকরা কামারছড়া থেকে বালু উত্তোলন করে ট্রাক ও ট্রলিতে দিচ্ছে। আলাপকালে তারা নিজেদের নাম প্রকাশ না করে জানায়, কালিছলি গ্রামের রসিদ উল্যা, ইব্রাহিম আলী, আবুল হোসেনসহ কয়েকজনের নিয়োগে তারা ছড়া থেকে বালু তোলার কাজ করছেন। প্রতিদিন গড়ে ৮ থেকে ১০ ট্রাক বালু পরিবহন করা হয় বলেও তারা জানান। তোলা এসব বালু বিভিন্ন স্থানে স্থাপনা নির্মাণ কাজে পরিবহন করা হচ্ছে বলেও তারা জানান। সরেজমিন নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র জানায় বালু উত্তোলনকারী চক্রের সদস্যদের নামে হত্যা মামলাসহ একাধিক বন মামলাও রয়েছে। তাদের অনেকেই আবার চা বাগানের পাহারার সাথে যুক্ত রয়েছে। চা বাগান কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে তাদেরকে দিয়ে সে এলাকার চা বাগান পাহারা দিতে হয়। আলীনগর চ াবাগানের ব্যবস্থাপক হাবিব আহমদ চৌধুরী বলেন, গত ১০ জুন ও ২৬ জুন দুইবার মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। যার অনুলিপি তিনি পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার খারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে দিয়েছিলেন। তাছাড়া মুঠোফোনেও কয়েক দফা তাগাদাও দিয়েছিলেন। তার পরও কামারছড়া থেকে বালু তোলা বন্ধে কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ব্যবস্থাপক হাবিব আহমদ চৌধুরী আরও বলেন, কামরারছড়া থেকে অবৈধ ও অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনে আপত্তি জানানোর কারণে সহকারি ব্যবস্থাপককে চক্রটি নানাভাবে হুমকি দেয়। তবে অভিযোগ সম্পর্কে বলেন তিনি বা তার লোকজন কামারছড়া থেকে বালু উত্তোলন করছেনা না ও বালু ব্যবসার সাথে যুক্ত নন। কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক কামারছড়া থেকে অবৈধ ও অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com