গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বটতলায় হাবিব মার্কেটে আগুনে ৫টি দোকান পুড়ে গেছে,ছোট্ট পাঁচ দোকানীরা বেঁচে থাকার শেষ অবলম্বন টুকু হারিয়ে বাকরুদ্ধ,তদন্তের দাবি স্থানীয়দের। গত দিবাগত রাত ৩টায় দিকে উপজেলার বালুয়াকান্দীর বটতলায় ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন অটো ষ্টান্ডে হাবিব মার্কেটে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে মার্কেটের একাংশ, খবর পেয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হন ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট।এ বিষয়ে গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন টিম লিডার সাইদুর জানান, ৩০মিনিট চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। স্থানীয় লোকজন ও মার্কেট মালিক এর ছেলে হাসিব এর সাথে কথা বলে জানা যায়, মার্কেটে বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ ছিল, দোকানে লোকজনও ছিল না, আগুন যে ভাবে চারদিক থেকে জ্বলেছে তাতে আমাদের মনে হয়েছে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবেই কেউ এ কাজ করেছে। পুড়ে যাওয়া ১টি দোকানের মালিক সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমার চা দোকানে নগদ টাকা ফ্রীজ সহ প্রায় ২ লক্ষ মালামাল ছিল। আমি এনজিও থেকে ঋন ব্যবসায় শুরু করি, আমার সব শেষ। ছেলে মেয়ে নিয়ে কিভাবে সংসার চালাবো, তাই বুঝতেছি না। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দাবি, আগুনে দোকান পুড়ে তাদের কমপক্ষে ১২লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, প্রথমে আমরা কয়েকজন মিলে বালতিতে পানি এনে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। পরে ভবেরচর থেকে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভায়। কিছু মানুষের স্বপ্ন এভাবেই শেষ হয়ে হয়ে যায়, বেঁচে থাকার এক মাত্র আয় উপার্যনের পথ পুড়ে ছাঁই। ক’জন ছোট্ট দোকানী যারা চা, পান সিগারেট বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।দোকান মালিকের দাবি যে ভাবে আগুনটা লেগেছে তাতে তাঁর মনে হয়েছে, পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে কেউ আগুন লাগিয়েছে, যদি তাই হয়ে থাকে তবে স্থানীয়দের দাবি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের, পাশাপাশি সমাজের বিত্তবান, জন প্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনের প্রতি আহবান জানাই ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের পাশে দাঁড়ানোর। মার্কেট মালিক মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব সর্বস্ব হারিয়ে বাকরূদ্ধ হয়ে পড়েছেন। এ বিষয়ে গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রঞ্জিত মল্লিক মোঃরিফাত মল্লিক জানান, আমরা তদন্তের জন্য নির্দেশনা চেয়েছি। গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃরইছ উদ্দীন জানান,বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি।