ডোমারের চিলাহাটিতে বুড়ি তিস্তা নদীর বুদুর ঘাটে বাঁশের সাকোঁই একমাত্র ভরসা ছয় গ্রামের ৫০ হাজার মানুষের। একটি সেতুর অভাবে যুগ যুগ ধরে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে এই এলাকার মানুষেরা । বর্ষায় কলার ভেলা আর শুষ্ক মৌসুমে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোই নদীর দুপারের মানুষের একমাত্র ভরসা। ভোগডাবুরী ও বড়শষী ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে বুড়ি তিস্তা নদীটি। নদীর এপারে শব্দিগঞ্জ, গোসাইগঞ্জ ও আনন্দবাজার ওপারে সর্দ্দারপাড়, জালিয়াপাড়া, ও চিলাপাড়া গ্রামের মানুষের অন্য কোন ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাকোঁ দিয়ে চলাচলের ফলে পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। এমনটা চলছে বছরের পর বছর। নদীর এ পাড়ে রয়েছে শব্দিগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, (ইমিউনিটি) দেখা যায়, করোনার প্রথম বা দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়ার পরও একই অবস্থা পরিলক্ষিত হয়।
সাধারণ ভাষায় বলতে গেলে, প্রথম বা দ্বিতীয় ডোজ টিকা যে ধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে, বুস্টারও একই প্রক্রিয়ায় কাজ করে। যে কারণে আলাদা করে বুস্টার ডোজ নেয়ার প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন এনআইএআইডির প্রধান গবেষক রবার্ট সেডার।
সেডার বলেন, ওমিক্রনের জন্য কোনো আলাদা টিকার প্রয়োজন নেই। এর থেকে পরিবর্তিত হয়ে নতুন কোনো মারাত্মক ধরন তৈরি হলে তখন টিকায় পরিবর্তন আনতে হবে। এনআইএআইডির ভ্যাকসিন গবেষক ড্যানিয়েল ডুয়েকের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, গবেষণায় উঠে আসা তথ্য নিয়ে তারা আশাবাদী। সাধারণ টিকা আর বুস্টার ডোজ যদি একই কাজ করে থাকে, তাহলে শুধু ওমিক্রনের টিকা বানাতে নতুন করে ডিজাইন করার দরকার নেই বলে মনে করেন তিনি। মাইক্রোবায়োলজি ও ইমিউনোলজির অধ্যাপক জন মুর অবশ্য বলেছেন অন্য কথা। প্রাণিকুলের ওপর টিকার ব্যাপ্তি পরীক্ষার ব্যাপারে তিনি ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছেন। কিন্তু টিকার প্রতিরোধ ক্ষমতা পরিমাপে মানবদেহেও পরীক্ষার ব্যাপারে গুরুত্ব দিতে আহ্বান জানান তিনি। মুর বলেন, বানরের ওপর করা পরীক্ষায় পাওয়া তথ্য সাধারণত ভবিষ্যদ্বাণীমূলক। তবে মানুষের ওপর পরীক্ষার তথ্য গুরুত্বপূর্ণ। সেটার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।