গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঢাকঢোল পিটিয়ে দফায় দফায় উচ্ছেদ অভিযান চালালেও বিত্তশালীদের ভবন রক্ষায় ইউটার্নে মোড় ধরেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সোমবার দুপুরে শুধু একপাশে উচ্ছেদ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা। তাদের দাবি, বিত্তশালী না দেখে দুপাশেই একত্রে উচ্ছেদ করে সড়কের প্রশস্ততা বৃদ্ধি করা হোক। এলাকাবাসী, ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী ও সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার বাজার এলাকার ভিতর দিয়ে বয়ে গেছে ঢাকার ধামরাই-গাজীপুরের মাওনা সড়ক। কিন্তু ওই বাজার এলাকায় সড়কের জমি দখল করে শতশত অবৈধ স্থাপনা নিমার্ণ করে এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ীরা তাদের বিভিন্ন ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। এসব দখলদারদের মধ্যে চেয়ারম্যান, দলীয় নেতাকর্মী ও বিত্তশালীরাও রয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের লোকজন বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে। কিন্তু কয়েক দিন যেতে না যেতেই সড়ক বিভাগের অসাধু কর্মকতার্দের যোগসাজসে আবারো দখল করে গড়ে উঠে অবৈধ স্থাপনা। কিন্তু সম্প্রতি যানজট নিরসনে ওই সড়কের ওইস্থানে দুই লেন থেকে চারলেনে উন্নতির কাজ চলছে। ফলে গত ১২/১৩ দিন আগে ঢাকঢোক পিটিয়ে ভেকু নিয়ে উচ্ছেদ অভিযানে নেমে গোপন বৈঠকের পর ফিরে যায় সড়ক বিভাগ। ফলে সকরারী অর্থ খরচ হলেও উচ্ছেদ করা হয়নি। সড়ক বিভাগের লোকজন মাপঝোকের পর সড়কের দুপাশে লাল দাগের চিহ্ন দিয়ে দখলকারীদের স্থাপনা সরানোর সময় বেধে দেয়। এরপর চারলেনে উন্নতির খবরটি ছড়িয়ে পড়লে নি¤œবিত্ত ও মধ্যবিত্তের ব্যবসায়ীরা তাদের অবৈধ স্থাপনা সড়িয়ে নেন। কিন্তু বিত্তশালীরা নাছোর বান্দা, তারা তাদের অবৈধ স্থাপনা সড়িয়ে নেননি। এ কারণে সড়ক বিভাগের লোকজন আবারও ঢাকাঢোল পিটিয়ে গতকাল সোমবার দুপুরে সেখানে উচ্ছেদ অভিযান চালায়। এসময় অবৈধ স্থাপনা সড়ানো স্থানেই শুধু একপাশে ভেকু দিয়ে মাত্র ৩৬টি স্থাপনার খুটিগুলো ভাংচুর করা হয়। অপরপাশে কোনো স্থাপনা ভাঙ্গা হয়নি। ওই পাশে বিত্তশালী চেয়ারম্যান ও নেতাকর্মীদের অবৈধ বহুতল ভবনসহ ছোট-বড় ভবন রক্ষায় অজ্ঞাত কারণে ইউটার্নে মোড় ধরেছে সড়ক বিভাগ। শুধু একপাশে উচ্ছেদ করায় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবেএকাধিক ব্যবসায়ীর অভিযোগ, অর্থের বিনিময়ে বিত্তশালীদের অবৈধ স্থাপনা না ভেঙ্গে সড়ক বিভাগের লোকজন চলে যায়। তাদের দাবি, বিত্তশালী না দেখে দুপাশে অবৈধ স্থাপনা একত্রে উচ্ছেদ করে সড়কের প্রশস্ততা বৃদ্ধি করা হোক। গাজীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাশেদ খান জানান, সড়কের এক পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। ওই পাশের উন্নয়ন কাজ শেষ হলে পর্যায়ক্রমে অপর পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। তবে অর্থ বিনিময়ের বিষয়টি সঠিক নয়।